সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)-র মাথায় বসতে চলেছেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত! সূত্রের খবর, ক্ষমতায় এসে কাশ্যপ প্যাটেলকে সিআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টরের পদে বসাতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আইএস প্রধান আল বাগদাদির মতো জেহাদিকে খতম করার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল কাশ্যপের। কে এই অভিজ্ঞ মার্কিন আধিকারিক?
জানা গিয়েছে, ট্রাম্প জমানাতেই সিআইএ-র প্রধান হওয়ার তালিকায় উঠে এসেছিল কাশ্যপ প্যাটেলের নাম। তবে ভারতের সঙ্গে তাঁর রয়েছে নিবিড় যোগ। আদতে গুজরাটি বংশের ছেলে তিনি। তবে ১৯৮০ সালে নিউ ইয়র্কের গার্ডেন সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন কাশ্যপ। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। এর পর রিচমন্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক পাশ করার পর বিট্রেনের ফ্যাকাল্টি অফ ল ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে আইনে ডিগ্রি লাভ করেন। তার পরই তিনি মার্কিন প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করা শুরু করেন।
কাশ্যপ প্যাটেল
বর্ণবাদ নিয়েও সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে কাশ্যপকে। একবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, "বর্ণবাদ মানবসভ্যতার সবচেয়ে বড় শত্রু। এর থেকেই সব থেকে বেশি ঘৃণা সৃষ্টি হয়।" একই সঙ্গে দক্ষ হাতে তিনি নানা গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি ছিলেন কার্যনির্বাহী প্রতিরক্ষা সচিব ক্রিস্টোফার মিলারের চিফ অফ স্টাফ। এর আগে কাশ্যপ ছিলেন প্রেসিডেন্টের ডেপুটি অ্যাসিস্টটেন্ট। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসদমন বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টরের দায়িত্বও ছিল কাশ্যপের কাঁধে।
এছাড়া ২০১৭-২১ সাল পর্যন্ত ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ছিলেন সেসময় তাঁর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয় কাশ্যপের। আইএস প্রধান আল বাগদাদি ও আল কায়েদা প্রধান কাসেম আল রিমিকে খতম করতে বড় ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। কাশ্যপের উদ্যোগেই বহু মার্কিন পণবন্দি মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন। এবার সব ঠিক থাকলে দুঁদে এই আধিকারিককেই দেখা যেতে পারে সিআইএ-র প্রধানের চেয়ারে। গত বছর এক অনুষ্ঠানে কাশ্যপকে ট্রাম্প বলেছিলেন, "তৈরি হও ক্যাশ, প্রস্তুতি নাও।" ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে শিকড় থাকা কাশ্যপেই যে ভরসা রাখছেন ট্রাম্প তা বলাই যায়।