সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন পাক-প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। ছেড়েছেন ইসলামাবাদও। এবার তাঁর ভবিষ্যত কী? আগামী নির্বাচনে লড়াই করে ফের ক্ষমতায় ফিরবেন কাপ্তান নাকি রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেবেন? প্রশ্ন উঠছে, কেন মাত্র ৩ বছর ২৩৫ দিনের মাথায় গদি হারালেন পাক সেনার ‘চোখের মণি’?
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইনিংসের শুরুটা ভালই করেছিলেন ইমরান খান। রাজনীতির মঞ্চে চালিয়ে খেলছিলেন তিনি। বিরোধীদের বাউন্সার এড়াতে তাঁর ভরসা ছিল, পাক সেনা এবং গোয়েন্দা সংস্থা ISI। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাই কাল হল ইমরানের।অতিরিক্ত সেনা এবং ISI নির্ভরতাই ডোবাল তাঁকে।
[আরও পড়ুন: বৃষ রাশির জাতকদের কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা, আপনার সপ্তাহ কেমন কাটবে?]
এ প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সিনিয়ক অ্যাসিসট্যান্ট অধ্যাপক ড. ধনঞ্জয় ত্রিপাঠী জানান, ইমরান খান প্রমাণ করে দিয়েছেন ৭৫ বছরের ইতিহাসে তিনিই পাকিস্তানের দুর্বলতম প্রধানমন্ত্রী। পাক সেনার (Pakistan Army) সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিই কাল হয়ে দাঁড়াল ইমরানের জন্য। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে, নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে সংবিধানের অপব্যবহার করেছেন ইমরান। আর তাই সঙ্গী রাজনৈতিক দলেরও চক্ষুশূল হয়েছেন তিনি। এদিকে ইমরানের জমানায় অভাবনীয় সংকটে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে (Pakistan)। কূটননৈতিকভাবেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তারা। সবমিলিয়ে পাকিস্তানবাসীর বিষনজরে পড়েছেন ইমরান। যার ফলশ্রুতি গদিচ্যুত হলেন তিনি।
এবার কী করবেন ইমরান? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষমতা হারিয়েই ইমরানের দুর্ভোগ কমছে না। তাঁকে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। কাপ্তানের পরিকল্পনা ছিল, সংসদ ভেঙে দ্রুত নির্বাচনের পথে হাঁটা। কিন্তু সুপ্রিম নির্দেশে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। উলটে সোমবার নবনির্বাচিত সরকার শপথ নেবে পাকিস্তানে। তাঁরা ক্ষমতায় এসে মোটেই দ্রুত ভোট করাতে চাইবে না।
[আরও পড়ুন: দেশে অনেকটা কমল করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু, আজ শুরু ১৮ ঊর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ অভিযান]
ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, আগামী দেড় বছর ইমরানের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির প্রমাণ করবে এই সরকার। প্রয়োজনে ইমরানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে তারা। যাতে দেশের মধ্যে জনপ্রিয়তা হারান ‘কাপ্তান’। যাতে নির্বাচন হলেও সরকার গড়ার স্বপ্ন না দেখতে পারেন সদ্য প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফলে ভবিষ্যতে ইমরানের প্রধানমন্ত্রী (Pakistan PM) পদে ফেরার সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ।