সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্নানকে ভয় পেতেন তিনি। তাঁর ধরণা ছিল স্নান করলেই অসুস্থ হয়ে পড়বেন। বাস্তবেও তাই হল। স্নান করাই কাল হল ‘বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা মানুষের’ (Dirtiest man in the World)। ৯৪ বছর বয়সে মৃত্যু হল ইরানের (Iran) বাসিন্দা দীর্ঘ ছয় দশক স্নান না করা আমু হাজির (Amou Haji)। জানা গিয়েছে, মাস খানিক আগে তাঁকে জোর করে স্নান করিয়েছিল গ্রামবাসীরা। এরপরেই ঘটে গেল বিপত্তি।
শতক ছুঁতে যাওয়া বয়সের আমুর পরিবারে আছেন কিনা জানা যায় না। দক্ষিণ ইরানের দেজগা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, গত ৬৭ বছর ধরে স্নান না করেই ছিলেন তিনি। শরীর ভরা নোংরা নিয়ে ভবঘুরে জীবন কাটাতেন। গ্রামবাসী, পথ চলতি মানুষ দয়া করে যা দিত তাই খেতেন। এহেন ব্যক্তিটি অনেকের কাছে ছিল বিশেষ কৌতূহলের। ২০১৩ সালে আমুরের অদ্ভূত জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছিল ‘দ্য স্ট্রেঞ্জ লাইফ অফ আমু হাজি’ (The Strange Life of Amou Haji) নামে একটি তথ্যচিত্র (Documentary Film)।
[আরও পড়ুন: অর্থনীতির কাঁটা বিছানো পথ ধরেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে, সংকট কাটানোর অঙ্গীকার সুনাকের]
সম্প্রতি গোলমাল হয়। জোর করে অমুরের অপছন্দের কাজটি করেন দেজগার বাসিন্দারা। তাঁরা নোংরা আমুকে পরিচ্ছন্ন করতে স্নান করান। এই ঘটনা মাস খানেক আগের। আজ জানা গিয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা মানুষ’টির। অনেকের মতে স্নানের কারণেই মৃত্যু হয়েছে আমুরের। এই কাজটিকে যে যমের মতো ভয় পেতেন তিনি।
[আরও পড়ুন: স্রেফ চলতি বছরের লাভ ১২৬ কোটির বেশি! ঋষি সুনাকের স্ত্রীর সম্পত্তি কত?]
উল্লেখ্য, স্থানীয় বৃদ্ধদের দাবি, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই স্বাভাবিক জীবন ছেড়েছিলেন আমু। ১৯৫৪ সালে নাকি শেষবার স্নান করেন। ধীরে ধীরে মানসিক অবসাদে ডুবতে ডুবতে আজ এই অবস্থা। নিজের নামও মনে নেই মানুষটার। আমু হাজি নামটিও দেওয়া স্থানীয়দের। যার অর্থ ‘দয়ালু বৃদ্ধ’। ‘পাগল’ হিসাবে পরিগণিত হলেও কোনওদিন কারও ক্ষতি করেননি আমুর হাজি। ‘বিশ্বের সবথেকে নোংরা ব্যক্তি’র এই পরিচ্ছন্ন সত্তা প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায় আজকের ‘সভ্য’ সমাজকে।