shono
Advertisement

করোনা ছড়ানোর পুরস্কার! সর্বোচ্চ সম্মানের জন্য মনোনীত ইউহানের গবেষণাগার

'ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি' থেকেই ছড়িয়েছে করোনা বলে অভিযোগ।
Posted: 03:24 PM Jun 24, 2021Updated: 04:05 PM Jun 24, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে চলছে করোনার (Corona Virus) মৃত্যুমিছিল। মহামারীর দাপটে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছে আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলিও। আর ওই মারণ ভাইরাসটি চিনের ‘ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি’ (Wuhan Institute of Virology) থেকেই ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ। এহেন পরিস্থিতিতে ‘বিজ্ঞানে অবদানের জন্য’ বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানটিকে সর্বোচ্চ সম্মানের জন্য মনোনীত করল চিন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আফগানিস্তান থেকে সেনা সরলেই ৬ মাসে কাবুল দখল করবে তালিবান, হুঁশিয়ারি মার্কিন গোয়েন্দাদের]

চিনের সংবাদমাধ্যম ‘Sina News’ সূত্রে খবর, ২০২১ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অসাধারণ অবদানের জন্য ইউহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি-কে মনোনীত করেছে ‘চাইনিজ় অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স’। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ রোধে বিস্তারিত ও শৃঙ্খলা মেনে গবেষণার জন্যই এই স্বীকৃতি। শুধু ইনস্টিটিউটকেই নয়, বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর শি ঝেংলি-কে। দেশে তাঁকে ‘ব্যাটওম্যান’ বলা হয়। তবে এই গবেষণাগার থেকেই নোভেল করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশ ও বিজ্ঞানীদের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, করোনা আসলে একটি জৈব মারণাস্ত্র বলেও অভিযোগ উঠেছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে ঝেংলি বলেন, “ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগ একেবারে মিথ্যা।”

উল্লেখ্য, চিনের সাফাই সত্বেও করোনার উৎস যে চিন সেই বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত আমেরিকা। প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও আর একধাপ এগিয়ে অভিযোগ করেছেন যে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) ইউহানের ল্যাবরেটরির কাজে যুক্ত। তারা মুখে বলে, নাগরিকদের জন্য গবেষণার কাজ করে। তবে এর অন্দরে লালফৌজের গোপন কাজকর্ম হয়। প্রসঙ্গত, চিনের (China) এই গবেষণাগার থেকেই মারণ করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে কিনা, তা এখনও তদন্তসাপেক্ষ। তবে অনেকেই এ বিষয়ে একমত। সম্প্রতি ব্রিটিশ ও নরওয়ের দুই বিজ্ঞানীর দাবি, তাঁরাও এর প্রমাণ পেয়েছেন। এর যথাযথ প্রমাণ পেতে অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে ইউহানের ল্যাব পরিদর্শন করে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রতিনিধিদল। তবে তাঁরা তেমন কোনও প্রমাণ পাননি বলেই খবর। কারণ, চিন গবেষণার মূল নথিপত্র হস্তান্তরে নারাজ। এই অবস্থায় চিনকে আরও একবার ভালভাবে তদন্তের কথা জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।

[আরও পড়ুন: ‘টিকা না নিলে ভারত চলে যান’, ফের বিতর্কিত মন্তব্য ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট দুতার্তের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement