সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেরিয়ে গিয়েছে ৮ দিন। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ (Russia-Ukraine Conflict) থামার লক্ষণ নেই। বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সেই বৈঠকেও অধরা থেকেছে রফাসূত্র। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি (Zelenskyy)। তাঁর মতে, যুদ্ধ থামানোর এটাই একমাত্র উপায়।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে নিরাপত্তায় মোড়া তাঁর দপ্তরে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জেলেনস্কি বলেন, ”এমনটা মোটেই নয় যে, আমি পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে রাজি নই। আমি অবশ্যই চাই পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে। গোটা বিশ্বই আলোচনা করতে চায় পুতিনের সঙ্গে। যুদ্ধ থামানোর আর কোনও উপায় নেই।” এরপরই পুতিনের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ”আপনি আমাদের থেকে কী চান? এই ভূখণ্ড ছেড়ে চলে যান। আসুন আলোচনায় বসি।” শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, রাশিয়ার তরফে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
[আরও পড়ুন: মুছে দেওয়া হল আমেরিকা, ব্রিটেনের পতাকা! রুশ রকেটে জ্বলজ্বল করছে শুধু তেরঙ্গা]
উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমেই ঘনাচ্ছিল যুদ্ধের মেঘ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন পুতিনকে হুঁশিয়ারিও দেন। কিন্তু সব হুঁশিয়ারিকে অগ্রাহ্য করে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রুশ সেনা। কিন্তু অভাবনীয় প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে পুতিন বাহিনীকে। এর ফলে কিছুটা অস্বস্তিতে রাশিয়া। তবে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
রাজধানী কিয়েভ, খারকভ-সহ ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর অবরুদ্ধ। শুধু তাই নয়, তৃতীয় বিশযুদ্ধের আশঙ্কা প্রবল করে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ সাফ জানিয়েছেন, এবার পরমাণু যুদ্ধ হবে। চেরনোবিল আণবিক কেন্দ্রের দখল নিয়েছে রুশ ফৌজ। এদিকে বৃহস্পতিবার ইউরোপের বৃহত্তম পরমাণু কেন্দ্র জাপরজাইয়ে (Nuclear power plant) আছড়ে পড়েছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। যাকে ঘিরে বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
যত দ্রুত সম্ভব ওই কেন্দ্রে হামলা চালানো বন্ধ করুক রাশিয়া, আরজি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির। একই আবেদন জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও। পাশাপাশি তিনি এই বিষয়ে দ্রুত রাষ্ট্রসংঘে বৈঠকের দাবিও জানিয়েছেন। যদিও ওই পরমাণু কেন্দ্রের কর্তার দাবি, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবুও আতঙ্কের প্রহর কাটাচ্ছেন ইউক্রেনবাসী। অস্বস্তিতে সারা বিশ্বের শান্তিকামী যুদ্ধবিরোধী মানুষ। এই পরিস্থিতিতেই পুতেনর সঙ্গে মুখোমুখি বসার প্রস্তাব জেলেনস্কির।