সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েই চলতে হবে। উজবেকিস্তানে এসসিও (SCO) সদস্যভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলনে এমনটাই জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। সেই সঙ্গে কোভিড ও ইউক্রেন সংঘাতের ফলে বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি হওয়া খাদ্য সঙ্কট এবং জ্বালানি সঙ্কটের দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার প্রয়োজনীয়তার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে এই গোষ্ঠীর সদস্য হয় ভারত।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে এসসিও বৈঠক। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই, রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোদের সঙ্গে এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রীও। কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকের দিকে নজর ছিল ওয়াকিবহাল মহলের। আর এই বৈঠকেই সন্ত্রাসবাদ ও ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বিষয়ের পাশাপাশি চাবাহার বন্দর নিয়েও কথা বলতে দেখা গেল জয়শংকরকে। ইরানের চাবাহারের বন্দরকে মধ্য এশিয়ার বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ডাক দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
[আরও পড়ুন: নেতাজি ইন্ডোরে হ্যাকিং প্রতিযোগিতা, দাদা-দিদিদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাক লাগাল ৬ খুদে ]
এদিকে আফগানিস্তান ইস্যু নিয়েও বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছে জয়শংকরকে। তালিবানের দখলে চলে যাওয়া ‘কাবুলিওয়ালার দেশ’ সম্পর্কে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে বলতে গিয়ে জয়শংকর জানিয়ে দেন, বিধ্বস্ত দেশটিতে গম, ওষুধ, টিকা ও পোশাক সরবরাহ করেছে ভারত।
বৈঠকের পাশাপাশি চিন, পাকিস্তান ও তালিবান মন্ত্রীদের সঙ্গে জয়শংকর বৈঠক করেন কিনা সেদিকেও নজর ছিল ওয়াকিবহাল মহলের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের কারও সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেনি ভারত। তবে জয়শংকর বৈঠক করেছেন কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছিলেন জয়শংকর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। সেখানে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন দুই বিদেশমন্ত্রী। মনে করা হয়েছিল, এখানেও হয়তো আলাদা করে কথা বলবেন তাঁরা। কিন্তু তা হয়নি।