সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুশ গোলায় পুড়ে ছাই বিশ্বের বৃহত্তম বিমান ‘AN-225 Mriya’। রাজধানী কিয়েভের কাছে প্রচণ্ড লড়াইয়ের সময়ে রুশ বাহিনীর ছোঁড়া একটি গোলায় দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বিমানটি। ইউক্রেনের তৈরি ওই বিশালদেহি পণ্যবাহী বিমানটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম সেরা নিদর্শন।
[আরও পড়ুন: নয়াদিল্লির উপর ক্ষুব্ধ কিয়েভ, সীমান্তে ভারতীয় পড়ুয়াদের বাধা ইউক্রেনের সেনার]
ইউক্রেনীয় ভাষায় ‘Mriya’ শব্দের অর্থ স্বপ্ন। এই বিমানটিকে নিয়ে প্রকৃত অর্থেই স্বপ্ন দেখেছিল ইউক্রেন। কিন্তু রাশিয়ার আক্রমণে সেই ‘স্বপ্নে’রই অপমৃত্যু ঘটেছে। বিশাল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ইউক্রেনের। সেই আশির দশকে সোভিয়েত জমানায় তৈরি করা হয়েছিল এই বিমান। বর্তমানে ইউক্রেনীয় সংস্থা ‘আন্তনোভ’ এই বিমানটি তৈরি করে। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা জানান, কিয়েভের কাছে একটি বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে জোর লড়াই চলছে রুশ ও ইউক্রেনের বাহিনীর। তখনই রুশ বাহিনীর ছোঁড়া একটি গোলায় দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে হস্টোমেল এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে থাকা বিমানটি।
ইউক্রেনের সরকারি টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “কিয়েভের কাছে একটি বিমানবন্দরে রুশ হানাদার বাহিনীর হামলায় ধ্বংস হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম বিমান ‘ম্রিয়া’ (স্বপ্ন)। কিন্তু আমরা আবার বিমানটি তৈরি করব। স্বাধীন, শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক ইউক্রেন গড়ে তুলব আমরা।” টুইটে বিমানটির একটি ছবিও রয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে, “বিশ্বের বৃহত্তম বিমানটিকে ওরা জ্বালিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের ‘স্বপ্ন’ কখনও ধ্বংস হবে না।”
[আরও পড়ুন: কূটনীতির লড়াইয়ে আবারও রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার পাশেই ভারত-চিন!]
এদিকে, পরিস্থিতি আরও জটিল করে গতকাল রুশ পরমাণু অস্ত্র প্রতিরোধী দলকে সতর্ক থাকতে বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মনে করা হচ্ছে, ন্যাটো সামরিক জোটের তরফে পরমাণু হামলা হতে পারে, এই আশঙ্কা করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তাঁর এই সতর্কতা জারির সিদ্ধান্তেও নিন্দা করেছে ইউক্রেন। এদিকে রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, বৈঠক চলাকালীনও হামলা থামাবে না তারা।