সোমনাথ রায়, অযোধ্যা: অযোধ্যা তো ঝাকি হ্যায়/কাশী মথুরা বাকি হ্যায়। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার পর থেকে এই স্লোগান চালু করেছিল বিজেপি। অযোধ্যার মন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর হওয়া প্রথম দীপাবলিতে বুধবার আরও একবার এই পুরনো স্লোগান উস্কে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তার জন্য সময়সীমাও বেঁধে দিলেন তিনি। স্বাধীনতার শতবর্ষেই লক্ষ লক্ষ প্রদীপের আলোয় সাজিয়ে তুলতে হবে কাশী-মথুরাকে, টার্গেট বেঁধে দিলেন যোগী।
অযোধ্যার দীপোৎসবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ ৫০০ বছর বাদে নিজের ঘরে দীপাবলি পালন করছেন রামলালা। এ তো সবে শুরু। যেভাবে আজ গোটা বিশ্বের নজর কেড়ে দীপাবলি পালন করছে অযোধ্যা, এভাবেই কাশী ও মথুরাতেও উৎসব হবে। ২০৪৭ সালে দেশ যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ পালন করবে, তার আগেই তার সব ব্যবস্থা করে ফেলতে হবে।”
তবে এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন ফৈজাবাদের সাংসদ অবধেশ প্রসাদ। সমাজবাদী পার্টির নেতা সাফ জানিয়ে দেন,“প্রথমত, কাশী-মথুরা বিচারাধীন বিষয়। কেউ কীভাবে তা নিয়ে মন্তব্য করতে পারে? আসলে ওরা (বিজেপি) চায় মানুষের মধ্যে অশান্তি, হিংসা থাকুক। নাহলে তো ওদের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা তা হতে দেব না। সবাইকে নিয়ে যেভাবে দেশ চলে, সেভাবেই চালিয়ে যাওয়ার লড়াই চালিয়ে যাব।” প্রসঙ্গত, ফৈজাবাদ কেন্দ্রের অন্দরেই রয়েছে অযোধ্যা।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার সময় ‘কাশী, মথুরা বাকি হ্যায়’ বলে স্লোগানও তুলেছিলেন উগ্র হিন্দুত্ববাদী করসেবকেরা। অযোধ্যায় মসজিদ ভেঙে রামমন্দির তৈরি করে বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। হিন্দুত্ববাদীরা এখনও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কাশী-মথুরাতেও মন্দির বানাতে হবে। কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং মথুরায় শাহি ইদগাহের বিতর্কের বিষয়টি এখনও আদালতে বিচারাধীন। তবে একাধিকবার ভোট টানতে কাশী-মথুরার স্লোগান তুলতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। এবার সেই কাশী-মথুরা নিয়েই বড়সড় মন্তব্য করলেন বিজেপির হিন্দুত্বের 'পোস্টার বয়' যোগী।