বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: সুযোগ পেলেই মহিলাদের বাথরুমে উঁকি। গোপনে ভিডিও করে নেওয়া কার্যত অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল ২ যুবকের। নাবালিকারদেরও ছাড় দিত না তারা। এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার এক অভিযুক্ত। আরেকজন পালিয়ে গিয়েছে। নদিয়ার চাকদহ থানার শিমুরালি ব্রহ্মপাড়ার ঘটনায় হতবাক সকলেই।
ধৃত যুবকের নাম প্রবীর সেনগুপ্ত ওরফে শিবা। তার বাড়ি ওই এলাকাতেই। শিমুরালির মাছের আড়তে কাজ করে শিবা। তার অন্তরঙ্গ বন্ধু রাজা মণ্ডল, কাজের পাশাপাশি খেলাধুলো-সহ একসঙ্গেই মেলামেশা দু’জনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় দেড় বছর ধরে এলাকার কোন মহিলা বাথরুমে গেলেই সুযোগ বুঝে শিবা এবং রাজা সেখানে উঁকি দেয়। গোপনে মহিলাদের ভিডিও তুলে তা নিজেদের সংগ্রহে রেখে দেয় তারা। সেইসব গোপন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে প্রতারণা করার উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই তারা ওই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছে কিনা, তাও জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: অন্য নারীতে মন! মেয়ে-জামাইয়ের সাহায্যে যৌনাঙ্গ কেটে স্বামীকে ‘খুন’ স্ত্রীর]
দু’জনের মধ্যে একজনের মোবাইল ঘাটাঘাঁটি করতে গিয়ে এলাকারই মহিলার বিষয়টি নজরে আসে। তিনি সকলকে জানান। বৃহস্পতিবার রাতেই ওই এলাকার কয়েকজন চাকদহ থানায় গিয়ে শিবা এবং রাজার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর শুক্রবার শিবাকে শিমুরালির মাছের আড়ত থেকে ডেকে নিয়ে এসে তার মোবাইল ঘেঁটে দেখেন অনেকেই। যদিও তার আগেই এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়েছে অপর অভিযুক্ত রাজা। শুক্রবার সকালে চাকদহ থানার পুলিশ প্রবীর সেনগুপ্ত ওরফে শিবাকে গ্রেপ্তার করে। যুবকের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।