জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ছেলেধরা নিয়ে গুজব ঠেকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে লাগাতার প্রচারেও লাভ হচ্ছে না কিছুই। একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা লেগেই রয়েছে। বনগাঁ, গাইঘাটা, গোপালনগরের পর এবার পেট্রাপোল থানার হরিদাসপুর এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে যুবককে মারধরের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার দুপুরে গণপিটুনির খবর পেয়ে পেট্রাপোল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
দিনকয়েক আগে হরিদাসপুর হরিমন্দির এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটে। বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সন্দেহজনকভাবে এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল ওই যুবক। তাঁর নাম ও বাড়ির ঠিকানা জানতে চাওয়া হয়। তবে তিনি ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারেননি বলেই দাবি। তাঁকে আটকে রাখেন স্থানীয়রা। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। এদিকে, ওই যুবকের সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগে তল্লাশি চালানো শুরু হয়। তাঁর ব্যাগে ছোট শিশুর পোশাক পাওয়া যায়। তা দেখে সন্দেহ হয় সকলের। এর পরই উত্তেজিত জনতা আইন নিজে হাতে তুলে নেয়। ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: নিট-ইউজি প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তারি সিবিআইয়ের, পাটনা থেকে ধৃত ২]
খবর পেয়ে পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যুবককে উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশকে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই গাছের ডাল, ইট দিয়ে যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। প্রসঙ্গত, বনগাঁ মহকুমা জুড়ে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনি রুখতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। পেট্রাপোল থানার পক্ষ থেকে লাগাতার প্রচার চলছে। তা সত্ত্বেও এদিনের গণপিটুনির ঘটনা প্রশাসনিক কর্তাদের যে বেশ মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।