ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: তিনি যখন যা বলেন, সেটাই ভাইরাল হয়ে ওঠে। ‘চড়াম চড়াম’ থেকে ‘জয়ঢাক’ কিংবা ‘গুড়-বাতাসা’ – বাংলা রাজনীতির বাকযুদ্ধে রীতিমতো নতুন মাত্রা যোগ করেছেন বীরভূমের তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এমন মেঠো কথাতেই তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। ফলে অনেকেরই পছন্দের। স্রেফ তাঁকে অনুকরণ (Mimicry) করেই নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ নাম করে ফেলেছেন কৌতুক শিল্পী সাজিদ খান। এবার তিনি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে বসেই তাঁকে অবিকল অনুকরণ করে দেখালেন। যা দেখে হাসি চাপতে পারলেন না ‘কেষ্টদা’ও। রবিবার বোলপুরে (Bolpur), জেলা তৃণমূলের পার্টি অফিসে বেশ জমে উঠল অনুব্রত-সাজিদের কাণ্ডকারখানা।
বেশ কয়েক বছর ধরেই অনুব্রত মণ্ডলের ভাবভঙ্গি নকল করে আসছেন সাজিদ খান। ইউটিউবে যা খুব জনপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ করে ইউটিউব (YouTube), ফেসবুকে (Facebook)অনুব্রতর ভাবভঙ্গি, সংলাপ বেশ ভাইরাল। অনেক কৌতুকশিল্পীই তাঁকে অনুকরণ করেন। শুধু ভারতে নয়, বাংলাদেশেও। আর তালিকায় সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় সাজিদ খান। বোলপুরের কাশীপুরের বাসিন্দা সাজিদ দীর্ঘদিন ধরেই অনুব্রতকে অনুকরণ করে ভিডিও তৈরি করছেন। নেটমাধ্যমে তাঁর একাধিক ভিডিও বেশ জনপ্রিয়। তাঁর ফ্যান-ফলোয়ারের সংখ্যাও কম নয়।
[আরও পড়ুন: আর্থিক সমীক্ষায় ৯ শতাংশ হারে জিডিপি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিতে পারে অর্থমন্ত্রক]
কিন্তু যাঁকে অনুকরণ করে এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন সাজিদ, তাঁর সঙ্গে সরাসরি কখনও দেখা হয়নি। রবিবার সন্ধ্যায় সাজিদ সরাসরি বোলপুরে তৃণমূল জেলা পার্টি অফিসে চলে আসেন। সেখানে তখন ছিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিছুক্ষণ তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। পার্টি অফিসে হাজির দলের নেতা, কর্মীরা সাজিদকে অনুরোধ করেন, অনুব্রতকে অনুকরণ করে দেখাতে। নেতার পাশে বসেই অবিকল তাঁর ভাবভঙ্গিমা অনুকরণ করে দেখান সাজিদ। আর নিজেকে অন্যের মধ্যে দেখে হাসি চাপতে পারলেন না অনুব্রতও। মাঝে মাঝেই হাসতে দেখা গেল তাঁকে।
[আরও পড়ুন: অনলাইন ক্লাসের ফাঁকে পর্নোগ্রাফি, বালককে টানা দেড় মাস ‘যৌন হেনস্তা’, ধৃত ৩ নাবালক]
সাজিদ জানান, ২০২০ সালে টিকটক (TikTok)অ্যাপে প্রথমবার অনুব্রতকে অনুকরণ করে একটি ভিডিও শেয়ার করেন তিনি। তাঁর তৈরি একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষের বেশি মানুষ দেখেছে। পাশাপাশি, তাঁর একাধিক ভিডিও ইউটিউব, ফেসবুকে ভাইরাল। সাজিদ বলেন, “তৃণমূল পার্টি অফিসে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে ব্যক্তিগত কাজে দেখা করতে এসেছিলাম। সেখানেই অনুব্রতবাবু বলেন যে তিনি আমার ভিডিও দেখেছেন। এরপর তাঁকে অনুকরণ করে একটা ভিডিও করার অনুরোধও করেন। তাই অনুব্রতবাবুর পাশে বসেই একটি ভিডিও করলাম।”