সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh) সহ-অধিনায়ক হয়েছেন। কিন্তু অধিনায়ক হননি। কিন্তু কেন? সেই কারণ এতদিন পরে ব্যাখ্যা করেছেন যুবি স্বয়ং।
৪২-তম জন্মদিন যুবরাজ সিংয়ের। ভারতীয় ক্রিকেটকে অনেককিছু দিয়েছেন বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। এখনও যুবরাজ সিং নামটা উচ্চারিত হলেই মনে পড়ে যায় সেই ছয় ছক্কা। মনে পড়ে ২০১১ বিশ্বকাপের দুর্দান্ত পারফৎম্যান্স। ভারতীয় ক্রিকেটে নিজেকে সঁপে দেওয়ার পরে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড ওঠেনি যুবরাজের হাতে। যুবি অবসর নিয়েছেন ২০১৯ সালে। তার পরে কেটে গিয়েছে চার-চারটে বছর। ভারতীয় ক্রিকেটেও অনেক উত্থান-পতন হয়েছে। চার বছর পরে যুবি ফিরে দেখছেন তাঁর জার্নি।
[আরও পড়ুন: অনুষ্কার বেবিবাম্প আড়াল করলেন কোহলি! বিরুষ্কার বিবাহবার্ষিকীর ছবি ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা]
২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের নেতৃত্বে ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। সহ-অধিনায়ক ছিলেন যুবি। সেবারের বিশ্বকাপে ভরাডুবি ঘটেছিল ভারতের। বিশ্বকাপের পরই রাহুল দ্রাবিড় নেতৃত্ব ছাড়েন। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়। অথচ যুবিকে বঞ্চিত করা হয়। ধোনিকে নেতৃত্ব দেওয়া হলেও ক্যাপ্টেন্সি করার অভিজ্ঞতা ছিল না তাঁর।
নেতৃত্ব না পাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে মঞ্জরেকরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুবি বলেছেন, ”আমারই অধিনায়ক হওয়ার কথা ছিল। গ্রেগ চ্যাপেল অধ্যায়ে একপক্ষ নিতেই হতো-হয় শচীনের দিকে না হয় গ্রেগ চ্যাপেলের দিকে। আমিই একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে শচীনকে সমর্থন করেছিলাম। কয়েকজন বিসিসিআই কর্তা বিষয়টাকে ভালো ভাবে নেননি। সেই সময়ে শুনেছিলাম, ওঁরা সবাইকে নেতা করতে পারে কিন্তু আমাকে নয়। এর কতটা সত্যি আমার জানা নেই।”
গুরু গ্রেগকে নিয়ে তখন উত্তাল ভারতীয় ক্রিকেট। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ইচ্ছাকৃত ভাবে ছুড়ে ফেললেন গ্রেগ চ্যাপেল। শচীনের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় অজি প্রাক্তনের। সে বড় সুখের সময় ছিল না ভারতীয় ক্রিকেটে। যুবি বলেছেন, ”হঠাৎই সহ অধিনায়কত্ব থেকে আমাকে সরানো হয়। আকস্মিক ভাবেই ধোনিকে ২০০৭-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেতা করা হয়। সিদ্ধান্তটা আমার বিরুদ্ধে গিয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই। আজকে যদি ফের একই ঘটনা ঘটে, তাহলে আমার সতীর্থকেই সমর্থন করব।”
[আরও পড়ুন: বল লেগে ছিটকে গেল স্টাম্প, তবুও আউট নন ব্যাটার! উত্তাল ক্রিকেট দুনিয়া]