সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০৪ ঘণ্টা। অর্থাৎ দিনের হিসেবে ৪ দিনের থেকেও বেশি। এই দীর্ঘ সময় ৮০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে থাকার পরে অবশেষে উদ্ধার পেল ১১ বছরের মূক ও বধির বালক রাহুল সাহু। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) জঞ্জির-চম্পা জেলায় ঘটেছে এই ঘটনা।
গত ১০ জুন বেলা দু’টোর সময় খেলতে খেলতে রাহুল পড়ে গিয়েছিল ওই কুয়োর মধ্যে। তবে কুয়োর একেবারে তলদেশ পর্যন্ত পড়েনি সে। তার আগেই আটকে গিয়েছিল। সেটাও মাটি থেকে ৬০ ফুট নিচে। তার পড়ে যাওয়ার খবর জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শুরু হয় রাহুলকে উদ্ধারের চেষ্টা। প্রথমে স্থানীয়রা চেষ্টা করলেও অচিরেই পরিষ্কার হয়ে যায়, প্রশাসনের সাহায্য ছাড়া একাজ অসম্ভব।
[আরও পড়ুন: মরণ-বাঁচন ম্যাচে দুর্দান্ত কামব্যাক, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখল ভারত]
যদিও স্থানীয় প্রশাসন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী NDRF আধিকারিকদের চেষ্টার পাশাপাশি সেনা ও পুলিশের লড়াই সত্ত্বেও সাফল্য সহজে আসেনি। তবুও সবাই মিলে হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করেই অবশেষে এল কঠিন জয়। সব মিলিয়ে শ পাঁচেক মানুষের নিরলস পরিশ্রমেই যা সম্ভব হল। তবে এই উদ্ধারকাজে বিশেষ ‘হিরো’ কিন্তু কোনও মানুষ নয়, একটি রোবট। গুজরাট থেকে আনানো হয় ওই বিশেষ উদ্ধারকারী রোবটকে। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে তুলে আনা সম্ভব হয়।
কেমন আছে ১১ বছরের ওই বালক? জানা গিয়েছে, এত দীর্ঘ সময় কুয়োর তলায় থাকার ধাক্কায় শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়ে গিয়েছে তার। সেই সঙ্গে রয়েছে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও। উদ্ধারের পরই তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন সে।
[আরও পড়ুন: মালদ্বীপ থেকে ফিরেই হাসপাতালে বিরাট-অনুষ্কা, ‘ফের সুখবর নাকি?’, প্রশ্ন নেটিজেনদের]
ছত্তিশগড়-সহ ভারতের বহু রাজ্যেই এই ধরনের গভীর কুয়োয় শিশু-বালক-বালিকাদের পড়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কিন্তু এত দীর্ঘ সময় পর কুয়ো থেকে উদ্ধার করার ঘটনা এই প্রথম ঘটল। এর আগে ২০০৬ সালে এক বালককে ৫০ ঘণ্টা পরে উদ্ধার করা হল। এবার নয়া নজির তৈরি হল মঙ্গলবারের মধ্যরাতে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল আগাগোড়া বিষয়টির দিকে নজর রেখেছিলেন। পরে তিনি অসুস্থ রাহুলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইটও করেন।