সুব্রত বিশ্বাস: রেলপথে গঙ্গাসাগরের (Gangasagar) তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষায় এই প্রথম কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। এজন্য এক কোম্পানি আরপিএসএফ অনুমোদন করেছে রেল বোর্ড। পূর্ব রেলের আরপিএফের আইজি পরম শিব জানান, এক কোম্পানি আরপিএফের পাশাপাশি হাওড়া, মালদহ ও আসানসোল ডিভিশন থেকে ১১০ জন রক্ষীকে আনা হচ্ছে শিয়ালদহে। পাশাপাশি গঙ্গাসাগরের ভিড় সামাল দিতে ১২টি বিশেষ লোকাল ট্রেন (Local Train) চালাবে রেল।
করোনা কালের ভাঁটা কাটিয়ে তীর্থযাত্রীদের জোয়ার আছড়ে পড়বে সাগর মেলায় তা নিশ্চিত। ভিড়ে বিশৃঙ্খলা রুখতে ও অপরাধ দমনে সক্রিয় থাকবে আধা সামরিক বাহিনী। রেল পুলিশ শিয়ালদহ, কলকাতা স্টেশনে ভিন রাজ্যের মানুষজনের সহায়তায় বিশেষ ব্যবস্থাও রাখছে। শিয়ালদহ রেল পুলিশ সুপার বি ভি চন্দ্রশেখর জানান, শিয়ালদহ রেল পুলিশ কর্মী ছাড়া আরও বাড়তি ১০০ পুলিশ কর্মী বাইরে থেকে আনা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: নজরে শিল্পে বিনিয়োগ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে জমির দাম কমানোর পথে রাজ্য]
গঙ্গাসাগরের সবচেয়ে কাছের রেল স্টেশন কাকদ্বীপ। সেই স্টেশনে বড় সংখ্যার তীর্থযাত্রীরা নামবেন তাদের সুরক্ষায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন হবে। ভারপ্রাপ্ত ডিএসপি নরেন্দ্রনাথ দত্ত জানান, অপরাধীদের উপর নজর রাখা ও নির্বিঘ্নে যাত্রীরা যাতে যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা থাকছে। নামখানা, লক্ষ্মীকান্তপুরে একই ব্যবস্থা থাকছে। পথভোলাদের সহযোগিতায় বিশেষ বাহিনী থাকবে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে।
শিয়ালদহ, কলকাতা, কাকদ্বীপ, নামখানা, লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে ১২ বিশেষ লোকাল চালাবে রেল। ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি চলবে এই ট্রেনগুলি। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার একটি মাত্র স্টেশন থেকে গঙ্গাসাগরের জন্য ট্রেন চলবে। এজন্য ১৫ নম্বর অথবা ২৩ নম্বর স্টেশনকে বাছা হবে। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার এখন পাঁচটি টিকিট কাউন্টার রয়েছে। আরও দু’টি কাউন্টার বাড়ানো হবে মেলার জন্য। পরিচ্ছন্নতা ও শৌচালয়গুলি দেখভালের জন্য বাড়তি কর্মীও নিয়োগ হবে।
তীর্থযাত্রীদের সহযোগিতায় ট্রেনের সময় সারণী অর্থাৎ টাইম টেবিল এবার লিফলেট হিসেবে বিলি করবে রেল। শিয়ালদহ, কলকাতা, কাকদ্বীপ, নামখানা স্টেশনে থাকবে মেডিক্যাল টিম। অসুস্থ হয়ে পড়া যাত্রীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য থাকবে অ্যম্বুল্যান্সও।