গৌতম ব্রহ্ম: অনুব্রতহীন বীরভূমে (Birbhum) যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফর শুরুর আগেই বীরভূম নিয়ে বড়া সিদ্ধান্ত নিল মন্ত্রিসভা। মহম্মদবাজার থানাকে ভেঙে তিনটি থানা গড়তে অনুমতি দেওয়া হল। এর মধ্যে দু’টি একেবারে নতুন থানা। বীরভূমে নতুন থানা তৈরির সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
নবান্ন সূত্রে খবর, মহম্মদবাজার থানাকে ভেঙে তৈরি হবে রামপুর, দেউচা ও মহম্মদবাজার। আইনশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখেই মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যে বড় থানা এলাকা ভেঙে নতুন থানা গঠনের ধারা নতুন নয়। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে আগামী দিনে আরও বেশি পুলিশ জেলা ও থানা গড়তে হবে বলে মত অনেকেরই। এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক থানা ভাঙা হয়েছে। এবার সেই তালিকায় জুড়ল বীরভূমের থানার নাম।
[আরও পড়ুন: ১৫ বছরের মেয়েদের বিষয়ে ভাবার সময় এসেছে, ‘নাবালিকা বিয়ে’ নিয়ে পর্যবেক্ষণে মত হাই কোর্টের]
উল্লেখ্য, দেউচা পাঁচামি রাজ্যের নতুন কোলিয়ারি অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠছে। শীঘ্রই এশিয়ার বৃহত্তম কয়লা খনি থেকে উত্তোলনও শুরু হবে। রাজ্যে পুনর্বাসন দিলেও এই কয়লা খনি নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে। প্রশাসনের অনুমান, এই বিক্ষোভে উসকানি দিয়েছিল বহিরাগতরা। সেদিকে নজর রেখেই এলাকার আইনশৃঙ্খলাকে আটসাঁট করতে চাইছে প্রশাসন। স্বাভাবিকভাবে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও অপরাধ দমন করতে ওই এলাকার জন্য নতুন থানা তৈরির সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তবে রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণে ভিন্নমতও উঠে আসছে। এতদিন বীরভূম জেলার খুঁটিনাটির দিকে নজর রাখতেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। আপাতত তিনি জেলের অন্দরে। এমন পরিস্থিতিতে জেলার রাশ শক্ত করতে নতুন দুটি থানা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা, এমনই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।