অর্ণব আইচ ও অরিজিৎ গুপ্ত: হাওড়ায় (Howrah) ফের জঙ্গির খোঁজ। কেন্দ্রীয় সংস্থার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে কলকাতার এসটিএফ (STF)। অভিযোগ, ইসলামিক স্টেটের (ISIS) মতো একাধিক জঙ্গি সংগঠনের হয়ে প্রচার চালাত তারা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যুব সম্প্রদায়েক মগজ ধোলাই করেছে তারা। মনে করা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে পাকিস্তান-মধ্য প্রাচ্যের একাধিক দেশের হ্যান্ডলারদের যোগাযোগ ছিল। ধৃত দুজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ। শনিবার তাদের আদালতে তোলা হলে ১৯ জানুয়ারি অবধি পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
টিকিয়াপাড়ার আফতাবউদ্দিন মুন্সি লেনের বাসিন্দা মহম্মদ সাদ্দাম। উচ্চশিক্ষিত। এম টেক করেছে। তার সঙ্গী সঈদ হোসেন। দুজনে মিলে হাওড়ায় বসে যুব সম্প্রদায়ের মগজ ধোলাই করে দেশবিরোধী কাজে উসকানি দিচ্ছিল বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: শ্রমজীবী ক্যান্টিনের পর, জনসংযোগে সিপিএমের নয়া হাতিয়ার ‘ফ্রি কোচিং সেন্টার’]
শুক্রবার রাতে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার ঘিঞ্জি গলি থেকে জঙ্গি সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। পরিবারের সদস্যরা বলতে চায়নি। ধৃতের বাবার নাম মোকারাম মল্লিক, রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। এক প্রতিবেশী রোশন আলি জানালেন, শুক্রবার রাতে সাদা পোশাকে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে নিয়ে যায়। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে এলাকায় পাঁচতলা আবাসনের তিনতলার ফ্ল্যাটে থাকত ধৃত। এলাকায় ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত ধৃত। সে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার হতে পারে তা ভাবতেই পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা।
এদিকে এসটিএফ সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী, কট্টরপন্থার প্রচার করত ধৃতরা। বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়ের মগজধোলাই করে জেহাদি কার্যকলাপে যুক্ত করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। দেশবিরোধী কাজে উসকানি দিতে বিস্ফোরণ, নারকীয় হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে দিত তারা। বহু যুবকই তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। মনে করা হচ্ছে, মহম্মদ সাদ্দাম ও সঈদ হোসেনের পিছনে বড় কোনও মাথা রয়েছে। পাকিস্তান বা মধ্যপ্রাচ্যের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগযোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগেও হাওড়া থেকে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যার সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের যোগ মিলেছিল।