ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কথা উল্লেখ করেগঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যানকে হুমকি। বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি তৃণমূলের। তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি শাসক শিবিরের।
শনিবার গঙ্গারামপুরে ভোটপ্রচারে যান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নির্বাচনী প্রচার সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান খুল্লামখুল্লা হুমকি দেন। বলেন, "হুমকি, ধমকি দিচ্ছেন। বলছেন এই ওয়ার্ড থেকে লিড দিতে না পারলে আগুন ধরিয়ে দেবেন। ওগুলো বাংলা সিনেমার ডায়লগ। আমাকে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না। গঙ্গারামপুরে একজন ভাইবোনের গায়ে হাত পড়ে তবে যে কদিন চেয়ারম্যান থাকবেন, তার থেকে বেশিদিন ইডি, সিবিআইয়ের হাতে থাকবেন।" এই হুমকির বিরোধিতায় সরব তৃণমূল। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানাল শাসক শিবির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যবস্থা করছে বলেই অভিযোগ তৃণমূলের। সুকান্তর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বর্ধমানের রাজা ভেবে ভুল মূর্তিতে মালা, দিলেন জয়ধ্বনিও! ভোটের মুখে বিতর্কে দিলীপ]
এর আগে শনিবার তৃণমূলের অফিসিয়াল X হ্যান্ডেল থেকে সুকান্তর একটি বক্তব্য পোস্ট করা হয়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "আবাস যোজনার বাড়ি গরিব মানুষকে না দিয়ে তৃণমূলের চোরগুলি নিজেদের নামে আবাস যোজনা বাড়ি নিয়ে নেয়। সেই কারণে টাকা বন্ধ করা হয়েছে। তৃণমূলের চোরদের জেলে ভরা হলে এসব বন্ধ হবে। তারপর লোকসভা ভোটের পর প্রধানমন্ত্রীকে বলব আবাস যোজনার ফান্ড চালু করতে।"
বলে রাখা ভালো, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল। শাসক শিবিরের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ রাজ্য সরকারকে দেওয়া হচ্ছে না, তা সুকান্তর বক্তব্যেই স্পষ্ট। যদিও গেরুয়া শিবিরের তরফে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।