সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে রক্তক্ষরণ অব্যাহত। মঙ্গলবার সকালে পাক আধাসেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। গুরুতর আহত আরও ৬ জন। উল্লেখ্য, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনরোষ সামাল দিতে বিশাল অঙ্কের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে পাকিস্তান (Pakistan) সরকার। তার পরের দিনই ফের মৃত্যু হল PoKতে।
জানা গিয়েছে, আর্থিক সাহায্যের ঘোষণার পরেই মুজঃফরাবাদ ছেড়ে বিদায় নিচ্ছিল পকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনী পাক রেঞ্জার্স। ১৯টি গাড়ির কনভয়ে চেপে যাচ্ছিলেন আধাসেনা কর্মীরা। আচমকাই তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। পালটা দিতে উত্তেজিত জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান সেনাকর্মীরাও। তাতেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
[আরও পড়ুন: রাফায় ইজরায়েলি হানায় মৃত ভারতীয়! শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রসংঘের]
উল্লেখ্য, অস্বাভাবিক হারে কর বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি -সহ একাধিক বিষয়ের বিরুদ্ধে পাক সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে শুক্রবার প্রতিবাদে নামে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) জনতা। পাক সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে টানা প্রতিবাদ মিছিল করছে জম্মু ও কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি। প্রতিবাদ রুখতে বিভিন্ন জায়গায় পাক রেঞ্জার্স ও পুলিশবাহিনী মোতায়েন করে সরকার। অসংখ্য মানুষকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি গুলি চালায় পাক পুলিশ।
তাতেও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিক্ষোভ থামানো যায়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তার পরেই ঘোষণা করা হয়, ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে অধিকৃত কাশ্মীরকে। মূলত বিদ্যুৎ ও আটার খরচে ভরতুকি দেওয়ার জন্যই এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৪০ কেজি আটার দাম ৩১০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতি ইউনিট বিদ্যুতেও কিছু ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এত কিছু করেও থামছে না বিক্ষোভের আগুন।