সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত তিন অনুপ্রবেশকারী। তাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে মাদক উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। ওই অঞ্চলে আরও অনুপ্রবেশকারী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা নিরাপত্তা বাহিনীর।
[আরও পড়ুন: ‘জ্ঞান-বুদ্ধির মূর্ত প্রতীক’, দার্শনিক রামানুচার্যের ‘স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি’ উদ্বোধনে মন্তব্য মোদির]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর। শনিবার গভীর রাতে সেখানে সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে পরে বিএসএফ জওয়ানদের। সীমান্তের ওপার থেকে একটি দলকে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, থামতে বলা হলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সন্দেহভাজনরা। তারপরই গুলি চালান বিএসএফ জওয়ানরা। নিহত হয় তিন অনুপ্রবেশকারী। ঘটনাস্থল থেকে ৩৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। ওই অঞ্চলে আরও অনুপ্রবেশকারী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা নিরাপত্তা বাহিনীর। ফলে চলছে চিরুনি তল্লাশি।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরে পাকিস্তান থেকে মাদক ও অস্ত্র পাচারের প্রয়াস নতুন কিছু নয়। তাই সীমান্তে সদাসতর্ক থাকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শ্রীনগরের জাকুরা এলাকায় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিযুদ্ধে নিহত হয় দুই জেহাদির।
প্রসঙ্গত, ৩০ জানুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয় পাঁচ জঙ্গি। নিহত জেহাদিদের মধ্যে ছিল পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার জাহিদ ওয়ানি। কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার টুইট করে জানান যে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষে চলে। অবশেষে খতম হয় জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার জাহিদ ওয়ানি-সহ পাঁচ জঙ্গি। নিহতদের মধ্যে একজন পাকিস্তানী সন্ত্রাসবাদীও রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। নিহতদের কাছ থেকে একে-৫৬ রাইফেল-সহ অন্যান্য অত্যাধুনিক হাতিয়ার ও নথি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।