দুলাল দে: বাঙালির ফুটবল (Football) আর বাঙালির পুজো হাত ধরাধরি করে চলবে না, তা কখনও হয় নাকি! এবার তাই পুজোর সঙ্গে ফুটবলকে জড়িয়ে নিতে এগিয়ে এল আইএফএও। সঙ্গে কলকাতার সেরা ৩০টি পুজো কমিটি। ও হ্যাঁ, মাথায় একটাই স্লোগান– ‘খেলা হবে’।
করোনা (Coronavirus) আবহে ফুটবল এবং দুর্গাপুজো দুটো সাধারণ মানুষের কাছে এমন বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে যে, পুজোয় সাধারণ মানুষ ঠিকভাবে প্যান্ডেল প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখতে পারবেন কি না, সন্দেহ আছে। যেরকম ইচ্ছে থাকলেও, খেলার মাঠে ভিড় জমাতে পারছেন না সাধারণ ফুটবলপ্রেমীরা।
[আরও পড়ুন: IPL 2021: নিলামে উঠবে বিরাটদের নীল জার্সি, টাকা খরচ হবে দুস্থদের ভ্যাকসিন দিতে]
এই পরিস্থিতির কথা বিচার করেই আইএফএ কর্তারা চাইছিলেন, পুজো আর ফুটবলকে একসঙ্গে মিশিয়ে কিছু একটা করতে। ফুটবলও থাকবে, আর পুজোর সঙ্গে যেন জড়িয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু কীভাবে? আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় কথা বলেন কলকাতার সেরা পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে। আর তারপরই ঠিক হয়, আইএফএ একটা ফুটবল প্রতিযোগিতা করবে যেখানে জড়িয়ে নেওয়া হবে পুজো কমিটির সদস্যদেরও। কিন্তু সেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ নয়। কিছুটা আনন্দ আর উৎসবের আবহে।
তখন ঠিক হয়, প্রতিযোগিতা হলেও পুরোদস্তুর ফুটবল ম্যাচ হবে না, যেখানে চোট লাগার ভয় আছে। ঠিক হয়, টাইব্রেকার প্রতিযোগিতা হবে। ৩০টি পুজো কমিটির প্রত্যেক দলে থাকবে ১০ জন করে ফুটবলার। যার মধ্যে ৬ জন করে ফুটবলার টাইব্রেকার শট নিতে পারবেন। অতিরিক্তের তালিকায় থাকবেন আরও চারজন। তবে এই দশ জনের দলে একটা চমকও রাখা হচ্ছে। দশ জনের দলে একজন মহিলা সদস্য রাখতেই হবে। এবার তাঁকে দিয়ে কোনও দল টাইব্রেকার শট নেওয়াবে কি না, সেটা পুরোটাই সেই দলের উপর নির্ভর করবে। ঠিক হয়েছে, পুজোর ঠিক মুখে দেশপ্রিয় পার্কে দিন-রাতের এই টাইব্রেকার প্রতিযোগিতা হবে। তার জন্য নানাভাবে সাজিয়ে তোলা হবে দেশপ্রিয় পার্ক। পুজোর আবহ আনতে ঢাক বাজানোর জন্য রাখা হবে ঢাকিদের। খেলার পরিবেশের বৈচিত্র আনতে থাকবেন চিয়ার লিডাররাও। সব মিলিয়ে একেবারে জমজমাট ব্যাপার।
[আরও পড়ুন: IPL 2021: অতিমারীতে আরও কড়া BCCI, কোহলিদের খাবার নিয়েও জারি নির্দেশিকা]
কিন্তু দল গঠনের ব্যাপারে পুজো কমিটিগুলোর উপর কড়া নির্দেশিকা দেবে আইএফএ। যেমন, ইচ্ছে করলে কোনও পুজো কমিটি অন্য পাড়ার কাউকে দলে ঢোকাতে পারবে না। তার জন্য আধার কার্ডের সঙ্গে ক্লাবের সদস্যপদও পরীক্ষা করে দেখবেন আইএফএ কর্তারা। এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে ত্রিধারা পুজোর সর্বেসর্বা তথা বিধায়ক দেবাশিস কুমার বললেন, “আইএফএ আমাদের সব পুজো কমিটিকে নিয়ে এই প্রতিযোগিতাটা করছে। পুজোর মুখে এটা একটা দারুণ উদ্যোগ। আর রাজ্য জুড়ে সরকারে ‘খেলা হবে’ প্রকল্পও চলছে। সব মিলিয়ে এই করোনা আবহে খেলা আর পুজো মিলে মিশে একাকার হয়ে যাবে।” এদিন, এই প্রকল্পর জন্য ফটোশুটও হয়ে গেল।