রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: ৩১ ফুটের কালী প্রতিমা পুজো হচ্ছে অসম-বাংলা সীমান্তের বারোবিশা বিবেকানন্দ ক্লাবে। এই পুজোকে কেন্দ্র এ বছরও হচ্ছে ১১ দিনের মেলা। ১৯৭১ সালে বারোবিশা বিবেকানন্দ ক্লাবের সাত ফুট কালী প্রতীমা দিয়ে পুজো শুরু হয়। তারপর থেকে প্রতিবছর প্রতিমার উচ্চতা বাড়ছে। অসম-বাংলা সীমান্তের বারোবিশা বিবেকানন্দ ক্লাবের কালী পুজো ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই পুজো ও মেলা ঘিরে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও মজবুত করেছে পুলিশ। ৩২টি সিসি ক্যামেরা ছাড়াও নজরদারি চালানোর দু’টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে বসে পুলিশ নজরদারি চালাবে।
[কয়েক শতক আগে আত্রেয়ী নদীতে ভেসে ওঠে বুড়া কালীর বিগ্রহ]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অসম ও বাংলা সীমান্ত এলাকা হওয়ার জন্য এমনিতেই এই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার থাকে। তবে মেলার জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এই পুজোর এ বছরের বাজেট ধরা হয়েছে ১৭ লক্ষ টাকা। বরাবর এই পুজোকে কেন্দ্র করে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ আনন্দে সামিল হন। তাই এখানকার মেলার আলাদা গুরুত্ব। ৩১ ফুট উচ্চতার প্রতিমা ছাড়াও থাকাছে আরও প্যান্ডেল জুড়ে থাকছে নানা চমক। লাইভ স্ট্যাচুর মাধ্যমে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’, ‘কন্যাশ্রী’-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প তুলে ধরা হবে।
এছাড়া প্রতিদিন মুক্ত মঞ্চে থাকবে যাত্রা গান, পদাবলি, জারিগান, কবিগান, বিহুনাচ, ছৌ-নাচ, আদিবাসী ও লোক সংগীতের আসর। এছাড়া নদীয়ার বাউল সম্প্রদায় গোলাম ফকির থাকছেন। চন্দননগরের শিল্পীরা এখানে আলোকসজ্জার দায়িত্বে আছেন। প্রতিমা তৈরি করছেন স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা। লক্ষ্মী পুজার পরদিন থেকে প্রতিমা নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে। ১৪ জন শিল্পী ১৪ দিন ধরে মাটি, পাটকাঠি, খড়, বাঁশ, কাঠ, সূতলি ও কাপড় দিয়ে এই প্রতিমা নির্মাণ করছেন।
[আবির্ভাব দিবসে গর্ভগৃহের বাইরে আসেন তারাপীঠে তারা মা]
The post ৩১ ফুটের কালী প্রতিমাই চমক বারোবিশার, ব্যাপক প্রস্তুতি appeared first on Sangbad Pratidin.