মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সোপিয়ানে (Shopian) নিকেশ হল ৪ জেহাদি। এদের মধ্যে ৩ জন জইশ জঙ্গি, অন্যজন স্থানীয় জঙ্গি বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে দু’টি ভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয় জঙ্গিদের (Terrorist) সঙ্গে। এর মধ্যে দ্রাচ অঞ্চলে মারা গিয়েছে ৩ জইশ (JeM) জঙ্গি। অন্য জঙ্গিটি মারা গিয়েছে মুলায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাতভর এনকাউন্টার চলার পর এখনও সেখানে রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চলছে। গতকাল মঙ্গলবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসেছেন উপত্যকা সফরে। আর এই পরিস্থিতিতেই গুলির লড়াই সোপিয়ানে।
কাশ্মীরের এডিজিপি বিজয় কুমার টুইটারে জানিয়েছেন, ‘দ্রাচ অঞ্চলে তিনজন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে, যাদের সঙ্গে জইশ-ই-মহম্মদের যোগ ছিল। অন্য এনকাউন্টারটি চলছে মুলুতে। বিস্তারিত তথ্য পরে দেওয়া হবে।’ জানা গিয়েছে নিহত জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছে হানান বিন ইয়াকুব জামশেদ। গত ২ অক্টোবর পুলওয়ামায় পুলিশ কর্তা জাভেদ দার ও ২৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ থেকে উপত্যকায় কাজ করতে যাওয়া শ্রমিক খুনে অভিযুক্ত ছিল হানান।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগে শুধু দেদার প্রতিশ্রুতি নয়, দিতে হবে হিসাবও! নয়া নিয়মের ইঙ্গিত কমিশনের]
শাহর কাশ্মীর সফরের মধ্যেই ঘটল এই এনকাউন্টারের ঘটনা। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপত্যকায় পা রাখার আগেই কারা দপ্তরের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাকে গলা কেটে খুন করার ঘটনাতেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। খুনের দায় স্বীকার করেছে লস্করের শাখা গোষ্ঠী ‘পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফোর্স’ তথা PAFF। এই হত্যা শাহকে ‘ছোট্ট উপহার’ বলেই কটাক্ষ করে জানিয়েছে জঙ্গী গোষ্ঠীটি। এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার এখানে এসেছেন অমিত শাহ। আজ বুধবার বারামুলায় জনসভা করবেন তিনি। তার মাঝেই ফের কাশ্মীরের সোপিয়ানে জঙ্গি-নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হল।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই হিজবুল মুজাহিদিনের (Hijbul Mujahideen) চিফ লঞ্চিং কমান্ডার শওকত আহমেদকে UAPA আইনের আওতায় জঙ্গি ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে লস্কর (Laskar-E-Taiba) নেতা হাবিবুল্লা মালিক ও হিজবুল নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কান্দুকেও জঙ্গি ঘোষণা করা হয়েছে। এই তিন জনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনা হয়েছে। কাশ্মীরের তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করে উপত্যকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে এই তিনজন।