সুকুমার সরকার, ঢাকা: বড় ধরনের নাশকতার আগেই পাকড়াও করা হল চার জেএমবি জঙ্গিকে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে সিরাজগঞ্জের একটি বাড়িটিতে অভিযান শুরু করে র্যাব। পরে সেখান থেকে চার জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বাড়িতে জড়ো হয়ে নাশকতার ছক কষছে জেএমবি (JMB) জঙ্গিরা। এই খবর পাওয়ার পরেই বাংলাদেশের উত্তরপ্রান্তে অবস্থিত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর সদরের শেরখালি এলাকায় থাকা ওই বাড়িতে অভিযান চালাল র্যাব (RAB)। তারপর ফজলুল হক মাস্টারের ডেরা বলে পরিচিতি ওই জায়গা থেকে ৪ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে। হঠাৎ ওই বাড়িটি থেকে বিকট শব্দে গুলি চালানোর শব্দ হয়। এর ফল প্রথম দফায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করতে বাধার সম্মুখীন হয়। বাধ্য হয়ে প্রথমে ওই বাড়িটির আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর বাইরে থেকে হুঁশিয়ারি দেয়, বেরিয়ে না এলে আস্তানা উড়িয়ে দেওয়া হবে। তখন লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা বেরিয়ে এসে র্যাবের কাছে আত্মসমর্পন করে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হিজবুত তহরিরের ৪ জঙ্গি, ফাঁস ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র]
এপ্রসঙ্গে র্যাব-১২ এর মিডিয়া অফিসার (সহকারী পুলিশ সুপার) মহিউদ্দিন মিরাজ জানান, শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার সময় ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে চার জন আত্মসমর্পণ করে। এদের মধ্যে একজনের নাম কিরণ। সে পাবনা-সিরাজগঞ্জ জেএমবির আঞ্চলিক প্রধান। এর আগে র্যাব-১২ এর এএসপি মাঃ মহিউদ্দিন মিরাজ ও স্হানীয়রা জানান, শিক্ষক ফজলুল হকের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে একজন নারী ভাড়াটিয়া বসবাস করছিল। হঠাৎ গত কয়েক মাস আগে বগুড়া থেকে ২ জন অপরিচিত লোক এখান সেখানে গিয়ে এসে বসবাস শুরু করে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় র্যাব শুক্রবার ভোর রাতে পুরো উকিলপাড়া ঘিরে ফেলে। ভোর সাড়ে ৫টার দিক শুরু হয় অভিযান। গোলাগুলির শব্দে ঘুম ভাঙে স্থানীয়দের। ওই বাড়ি থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি রাম দা, বোমা তৈরি সরঞ্জাম ও জেহাদি বইও উদ্ধার করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।