সৌরভ মাজি, বর্ধমান: রাজ্যে ফের গণপিটুনি। এবার পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানা এলাকায় চোর সন্দেহে গণধোলাই দেওয়া হল চারজনকে। খবর পেয়ে তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়ে ইটের আঘাতে আহত হন দুই পুলিশকর্মীও। ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছে। আহতরা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেওয়ানদিঘি থানার আলমপুর গ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে চুরির ঘটনা ঘটছে। তাই গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নেন রাত পাহারা দেবেন তাঁরা। সেই মতো বৃহস্পতিবার পালা করে রাত জাগছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই সময় চারজন প্লাস্টিকের আসবাবপত্র ব্যবসায়ী গাড়ি নিয়ে সেই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই গ্রামবাসীরা তাঁদের চোর সন্দেহে গণপিটুনি দেন।
[আরও পড়ুন: পুনর্নির্মাণের পর আড়িয়াদহের ‘ডন’ জয়ন্তর তালতলা ক্লাব সিল, বাজেয়াপ্ত লোহার রড]
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশ। আক্রান্তদের উদ্ধার করতে গেলে বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশের উপরও চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। ইটের আঘাতে এক এএসআই-এর মাথায় আঘাত লেগেছে। জখম হয়েছেন আরও এক পুলিশকর্মী। এর পরেই পরিস্থিতি সামল দিতে বিশাল বাহিনী যায় এলাকায়। আক্রান্তদের উদ্ধার করে তারা। এদিকে রাতভর অভিযান চালিয়ে গণপ্রহার ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে প্লাস্টিকের আসবাবপত্র বিক্রি করেন। তারা মুর্শিদাবাদের লালগোলা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ তাদের উদ্ধার বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠিয়েছে। আক্রান্তদের স্রেফ সন্দেহের বশে মারধর করা হয়েছিল। চুরির কোনও প্রমাণ হামলাকারীরা দেখাতে পারেননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।