ধীমান রায়, কাটোয়া: আকাশে হালকা মেঘ দেখে অনেকেরই মনে আশা জেগেছিল, কিছুটা স্বস্তি মিলবে। কিন্তু বৃষ্টিপাত সেভাবে হল তো না। উপরন্তু 'শুকনো মেঘের' বজ্রপাত পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটে প্রাণ কাড়ল চারজনের। শোকের ছায়া এলাকায়।
সোমবার বিকেলে মাঠে গরু চড়ানোর সময় মঙ্গলকোটের কানাইডাঙ্গা গ্রামের কাছে মৃত্যু হয়েছে দুই ভাইয়ের। মৃতদের নাম বিজয় ঘোষ (৫৫) এবং অজিত ঘোষ (৫৯)। একই সময়ে মঙ্গলকোটের ঠ্যাঙ্গাপাড়া গ্রামের কাছে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে জিল্লাল মোল্লা (৬২) নামে এক গ্রামবাসীর। এদিনই বিকেলে মঙ্গলকোটের সাকোনা গ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে রুবিনা বিবি (৩৭) নামে এক বধূর। জানা গিয়েছে রুবিনা বিবির বাড়ি বীরভূমের নানুর। তিনি সাকোনা গ্রামে আত্মীয়বাড়িতে এসেছিলেন। আত্মীয় বাড়ির কাছে মাঠে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তাঁর। এদিন বজ্রপাতে মঙ্গলকোটে তিনটি গরুও মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে তীর্থযাত্রীদের বাসে হামলায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা, শুরু NIA তদন্ত, জঙ্গিদের তল্লাশিতে সেনা]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের কৈচর বাজার থেকে কিছুটা দূরে কানাইডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা অজিত ঘোষ ও বিজয় ঘোষ নামে দুই গোপালক তখন তাদের গরুগুলি নিয়ে মাঠে চড়াচ্ছিলেন। আকাশে মেঘ দেখেই গরুগুলি তাড়িয়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। তখনই কার্যত বৃষ্টিহীন মেঘে বজ্রপাতে লুটিয়ে পড়েন দুজনেই। পরে খবর পেয়ে উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রায় একই সময়ে মঙ্গলকোটের ঠ্যাঙ্গাপাড়া গ্রামের কাছে মাঠে গরু চড়ানোর সময় জিল্লাল শেখ মাঠে গরু চড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যান। তার একটি গরুও মারা যায়। এদিন সন্ধ্যার মুখে কাটোয়া শহরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। একটি ডাবগাছে বাজ পড়লে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে গাছটি। মঙ্গলকোটের নপাড়া গ্রামে হাসনানাহারা খাতুন নামে দশম শ্রেনীর এক ছাত্রী বজ্রপাতে জখম হয়। তাকে মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।