সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ংকর দুর্ঘটনার সময় চার বছরের শিশুটিও ছিল অভিশপ্ত ব্রিজের উপরে (Morbi Bridge Collapse)। কিন্তু কীভাবে যেন বেঁচে গিয়েছে সে! সকলের বক্তব্য ভাগ্যই বাঁচিয়ে দিয়েছে তাকে। কেমন ভাগ্য? শিশুটি যে অনাথ হয়ে গিয়েছে! বাবা, মা দু’জনকেই হারিয়েছে নিষ্পাপ বাচ্চাটি। তার ভবিষ্যত এখন নিকট আত্মীয়দের হাতে।
শেষ পরিসংখ্যান বলছে, মচ্ছু নদীর (Machchhu River) উপরের ‘ঝুলতা পুল’ ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হয়েছে ১৪১ জনের। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখনও কাদায় আটকে রয়েছে শ’খানেক দেহ। এখনও অবধি মৃত শিশুর সংখ্যা ৪৭। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় নিয়ম ভেঙে চার থেকে পাঁচশ লোক উঠেছিল ব্রিজটিতে। একসময় ছিঁড়ে পড়ে নদীতে। অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু হয় জল ডুবে। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন চার বছরের জিয়াংশের বাবা-মা।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! নাটকে ভগৎ সিংয়ের ফাঁসির মহড়া, গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের]
কাছাকাছি উমা টাউনশিপের বাসিন্দা হার্দিক ফালদু। রবিবার স্ত্রী মিরাবেন ও পুঁচকে জিয়াংশকে নিয়ে ব্রিজ দেখতে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন হার্দিকেরই তুতো ভাই হর্শ জালাভাদিয়া ও তাঁর স্ত্রী। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে হার্দিক, মিরাবেন, হর্শ ও তাঁর স্ত্রীর। কোনওভাবে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে জিয়াংশকে। কিন্তু চার বছরের জিয়াংশ এখন অনাথ! সে কীভাবে বড় হবে? কার কাছে থাকবে? মচ্ছু নদীর দুর্ঘটনায় জিয়াংশুর মতো আরও শিশুর ভবিষ্যতও কী অন্ধকারে তলিয়ে গেল? উত্তর দেবে নির্মম সময়।
[আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসককে হেনস্তা, বন্দুক তাক করে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা!]
এদিকে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় জেরে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গুজরাট পুলিশ (Gujarat Police)। অধিকাংশই মেরামতকারী সংস্থা ওরেভার কর্মী। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সংস্থার ম্যানেজার, দুই টিকিট বিক্রেতা এবং তিন নিরাপত্তারক্ষীকে। এই নিরাপত্তারক্ষীদের উপরেই ছিল ভিড় সামাল দেওয়ার দায়িত্ব। তা ঠিক মতো পালন হয়নি বলেই বিপদ হয়, এমনটাই দাবি। যদিও গাফিলতির আরও অভিযোগ রযেছে। প্রথমত, ফিট সার্টিফিকেট ছাড়া দিন পাঁচেক আগে নতুন করে খুলে দেওয়া হয় ব্রিজটিকে। বিরোধীদের বক্তব্য, ভোটের লোভে বিপদের কথা না ভেবে সেতু খুলে দেওয়া হয়। এইসঙ্গে জানা যাচ্ছে, ওরেভা (Oreva Group) নামের যে সংস্থাকে সেতু মেরামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাদের এমন কাজের অভিজ্ঞতাই ছিল না। তারা বরং সিএফএল বাল্ব, দেওয়াল ঘড়ি, ই-বাইক ইত্যাদি বিশেষজ্ঞ।