শংকর কুমার রায়, রায়গঞ্জ: ফাঁকা বাড়িতে নবছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পড়শির বিরুদ্ধে। ঘটনার পর নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি না করার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার কুন্দরগাঁও এলাকা। হাসপাতাল সুপারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার ইসলামপুর থানায় তির ধনুক নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় আদিবাসীরা। বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করতে গিয়ে তুমুল বচসা শুরু হয় থানা ক্যাম্পাসে।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রের অভিযোগ, গত শনিবার বিকালে ফাঁকা বাড়িতে একা ছিল নয় বছর বয়সি ওই নাবালিকা। বাড়িতে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় বলে স্থানীয় এক বছর সতেরোর কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ। যৌন অত্যাচারের ফলে রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। কিন্তু কাউকে সে কিছুই জানায়নি। অনেক জিজ্ঞাসা করার পর রবিবার সকালে ধর্ষণের ঘটনাটি সামনে আসে।
[আরও পড়ুন: মুখ পোড়ার ভয়? ব্রিগেডে পালটা সভা চায় না বিজেপি]
রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নাবালিকাকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি না করে নির্যাতিতা কিশোরীকে ফিরিয়ে দেয়। এই অভিযোগ তুলে সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আদিবাসীরা। নির্যাতিতাকে সোমবার সকাল থেকে ইসলামপুর থানায় বসিয়ে রাখা হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। শেষপর্যন্ত পুলিশের সহযোগিতায় বেলা একটা নাগাদ ওই নাবালিকাকে ইসলামপুর মহকুমার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়।।
আদিবাসী জমি রক্ষা কমিটির ব্লক সভাপতি জাঁসকেল হাঁসদা বলেন,”হাসপাতাল সুপারের শাস্তি এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ আন্দোলন চলবে।” ইসলামপুর আইসি হীরক বিশ্বাস বলেন,”তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”