সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে (Bihar) ভুল বুঝে এক কিশোরকে খুন করল এক কিশোরীর আত্মীয়রা। পরিবারের সদস্যরা মনে করেছিল কিশোর প্রেমপত্র দিয়েছে কিশোরীকে। এরপরই তাকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও পরে জানা যায় কিশোর আদতে চিরকুটে লেখা পরীক্ষার নোট দিতে চেয়েছিল নিজের দিদিকে, কিন্তু একই ক্লাস ঘরে পরীক্ষায় বসা নোটটি পায় অচেনা এক কিশোরী। যদিও ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে গিয়েছে। মৃত কিশোরের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিশোরীর দাদা ও অন্য আত্মীয়দের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি বিহারের ভোজপুর জেলার। মৃত কিশোর পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র, ১২ বছরের দয়া কুমার। পরীক্ষায় বসা নিজের দিদিকে সাহায্য করতে চেয়েছিল সে। দিদির স্কুলে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা চলছিল। ১২ অক্টোবর পরীক্ষার মধ্যেই দিদিকে সাহায্য করতে একটি নোট চিরকুটে লিখে দিদিকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে দেয় সে। কিন্তু দিদির কাছে তা পৌঁছায়নি, বরং অন্য এক কিশোরীর পায়ের কাছে গিয়ে পড়ে তা। চিরকুট কুড়িয়ে নেয় কিশোরী। পরীক্ষার শেষে তার দাদাকে কিশোরের নামে অভিযোগ করে সে। জানায়, দয়া কুমার তাকে প্রেমপত্র দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্মীপুজো না করেও তো মুসলিমরা কোটিপতি হন’, বিজেপি নেতার মন্তব্যে বিতর্ক, পুড়ল কুশপুতুল]
এর পরেই দয়ার উপর চড়াও হয় ওই কিশোরীর দাদা ও অন্য আত্মীয়রা। প্রথমে কিশোরকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এমনকী পরে তাকে অপহরণ করা হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার চারদিন পর স্থানীয় রেল লাইনের ধার থেকে কিশোরের টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় কিশোরীর দাদা-সহ অন্য আত্মীয়দের গ্রেপ্তার করেছে বিহার পুলিশ।