রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: যৌন নির্যাতনের পর নাবালিকাকে খুন করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। নিখোঁজ হওয়ার সাতদিন পর উদ্ধার দেহ। আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁতেও ব্যাপক চাঞ্চল্য। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খুন হওয়া নাবালিকা জয়গাঁর গুয়াবাড়ি চৌপথি এলাকার বাসিন্দা। ১৪ অক্টোবর সন্ধেয় চাউমিন খাওয়ানোর নাম করে বাড়ি থেকে ওই নাবালিকাকে নিয়ে যায় বাবলু মিঞা (৫০) নামে এক ব্যক্তি। তার পর থেকেই ওই নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়। বাবলুকেও খুঁজে পাচ্ছিলেন না নাবালিকার পরিবার। পরে জয়গাঁ থানাতে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। এর পরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে জয়গাঁ থানার পুলিশ। স্নিফার ডগ নামিয়ে তল্লাশিও চালিয়েছিল পুলিশ। অভিযুক্ত বাবলু মিঞা নাবালিকার পরিবারের পরিচিত বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ দাবি করেছে, মঙ্গলবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নেপাল সীমান্তে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে বাবলু মিঞাকে গ্রেপ্তার করা হয় । ধৃত বাবলুর কাছ থেকে মৃতদেহ কোথায় তা জানতে পারে পুলিশ। তার পরেই পুলিশের অন্য একটি দল মৃতদেহ উদ্ধার করে । পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত ছাড়া আরও দুই জন জড়িত রয়েছে। এই ঘটনায় ভারত–ভুটান সীমান্তের জয়গাঁতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আফজল মিঞা বলেন, “দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই। পুলিশ দ্রুত ঘটনার তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দিক।” জানা গিয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে খুন , অপহরণ ও পকসো ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। জয়গাঁর এসডিপিও প্রশান্ত দেবনাথ বলেন, “গ্রেপ্তার হওয়া বাবলু খুনের কথা স্বীকার করেছে। আপাতত মৃতদেহ দেখে আমাদের মনে হচ্ছে মৃতদেহে আগুন দেওয়া হয়েছিল। নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই বোঝা যাবে। কবে এই খুনের ঘটনা ঘটেছিল তাও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে পরিষ্কার হবে।"