ধীমান রায় কাটোয়া: ঘুরতে যাওয়ার নামে ডেকে নাবালিকাকে গণধর্ষণ (Gang Rape)। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূ্র্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ভাতারে। ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে নির্যাতিতাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতারের পাটনা গ্রামে মামাবাড়িতে থাকে ১৭ বছরের কিশোরী। নবম শ্রেণির ছাত্রী সে। কিশোরীর মামা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় তাঁর ভাগ্নি দোকানে গিয়েছিল। তারপর অনেক রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি। এরপরই প্রকাশ্যে আসে গোটা বিষয়। নির্যাতিতা জানিয়েছে, গোটা ঘটনার নেপথ্যে সাহিরুদ্দিন শেখ নামে এক যুবক। নির্যাতিতার দাদার বন্ধু সাহিরুদ্দিন। সেই সূত্রে কয়েকদিন ধরে কিশোরীর সঙ্গে ফোনে কথা হত ওই যুবকের।
[আরও পড়ুন: ট্রেন বাতিলের জেরে বিক্ষোভে নিত্যযাত্রীরা, তীব্র উত্তেজনা তালান্ডু স্টেশনে]
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ফোন করে নাবালিকাকে ডাকে সাহিরুদ্দিন। পাটনা গ্রামের মোড়ের কাছে গিয়ে নির্যাতিতা দেখে টোটোয় বসে রয়েছে আরও এক যুবক। নির্যাতিতা জানায়, তাকে সাহিরুদ্দিন ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। এরপর তিনজনই টোটোয় বসে। অভিযোগ, পাটনা মোড় থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে আমারুণ গ্রামের কাছে একটি নির্জন মাঠে নিয়ে যাওয়া হয় নির্যাতিতাকে। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্ষণের পর মেয়েটিকে মাঠে ফেলে পালায় অভিযুক্তরা। অসুস্থ অবস্থায় হাঁটতে হাঁটতে কোনওরকমে ভাতার বাজারের কাছাকাছি পৌঁছয় নির্যাতিতা। স্থানীয় একজনকে জানায় গোটা বিষয়টি। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ভাতার থানার পুলিশ নির্যাতিতার প্রথমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাহিরুদ্দিনকে। তার দাবি, বন্ধু ফজলকে নিয়ে ভাতার বাজারে চাদর কিনতে গিয়েছিল সে। ফেরার সময় ফজল মদ্যপান করে। তারপর তার আবদার মতোই ওই কিশোরীকে ডেকে ধর্ষণের ছক কষে। পুলিশ ধৃতকে ৫ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে।