দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: মোবাইলে ভিনরাজ্যের যুবকের সঙ্গে প্রেম। প্রেমিক একাধিকবার তাঁর কাছে যেতে বললেও তা সম্ভব হয়নি নাবালিকার পক্ষে। তা নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিল ছাত্রী। আর সেই কারণেই বেছে নিল আত্মহত্যার পথ। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। মেয়ের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে বাবা-মা।
মৃত ছাত্রীর নাম সাত্বিকা মজুমদার। সাউথ পয়েন্ট স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা। তার বাবা সন্তোষ মজুমদার খেয়াদহ দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। পড়াশোনা ও মিষ্টি ব্যবহারে জন্য এলাকার সকলের প্রিয় ছিল সাত্বিকা। শুক্রবার ভোররাতে সন্তোষবাবু দেখেন মেয়ের ঘরে আলো দেখতে পান। সেই আলো নেভাতে গিয়ে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে ওই উপপ্রধানের। দেখতে পান, ফ্যানে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে মেয়ে।
[আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ, কেন্দ্রকে জবাব দিলেন স্বয়ং স্বাস্থ্য অধিকর্তা]
সন্তোষবাবু জানিয়েছেন, মেয়ের দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছেন তিনি। সেখানে লেখা ছিল, “আমি ওর কাছে যেতে পারলাম না।” পাশে প্রেমিকের ফোন নম্বরও লিখে গিয়েছে নাবালিকা। প্রেমিক যাতে শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে পায় তাই তাঁর সঙ্গে পরিবারকে যোগাযোগ করার আরজি জানিয়েছে সে। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল সাত্বিকার। ধীরে ধীরে কথাবার্তা থেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তাঁরা। সূত্রের খবর, প্রেমিক নাকি সাত্বিকাকে বারবার তাঁর কাছে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি নাবালিকার পক্ষে। সেই কারণেই এই মর্মান্তিক পরিণতি।