বাবুল হক, মালদহ: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল (TMC) নেতাকে খুন। ঘটনা মালদহের চাঁচলের। তৃণমূল নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাজারও প্রশ্নের ভিড়। রাজনৈতিক কারণ নাকি অন্য কিছু, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিহতের এক প্রতিবেশীকে আটক করে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
মালদহের (Malda) চাঁচলের চন্দ্রপাড়ার অঞ্চল সহ সভাপতি ছিলেন সেতাবুর রহমান। খানপুরের বাসিন্দা তিনি। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় বেশ কয়েকজন। চলেও যান সেতাবুর। রাত বাড়লেও বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এরপর তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় এলাকায়।
[আরও পড়ুন: Post Poll Violence: রাজ্যের তৈরি SIT-কে তদন্তে সাহায্যের জন্য আরও ১০ অফিসার নিয়োগ]
খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তড়িঘড়ি চাঁচল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে ওই তৃণমূল নেতাকে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কীভাবে খুন করা হল, তা এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
তবে কী কারণে ওই তৃণমূল নেতা খুন হলেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। পরিবারের দাবি, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই খুন করা হয়েছে তাঁকে। যদিও রাজনৈতিক বিবাদে খুন হয়েছেন কিনা, সে সন্দেহও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নিহতের এক প্রতিবেশীকে আটক করেছে পুলিশ। কামালউদ্দিন নামে ওই ব্যক্তিকে জেরা করা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই খুন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সামনে আসতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।