অর্ণব দাস, বারাকপুর: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) জগদ্দলের অন্তঃসত্ত্বা বধূ খুনের (Murder) ঘটনায় নয়া মোড়। অভিযোগ, পরকীয়ায় জড়িয়েছিল মৃতার স্বামী। তাতে বাধা দেওয়ায় এই পরিণতি বধূর। স্বামীর পর মৃতার শাশুড়িকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মৃতার দাদার অভিযোগ, বর আবিরই খুন করেছে প্রিয়াঙ্কা পুরকায়স্থকে। কিন্তু কেন এই খুন? কী নিয়ে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে অশান্তি চলছিল আবিরের? মৃতার দাদার দাবি, অফিসের এক সহকর্মীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল আবির। তা নিয়ে দাম্পত্যকলহ শুরু হয়। স্ত্রীর উপর নির্যাতন করত অভিযুক্ত। মৃতার দাদার দাবি, সেই পরকীয়ার জেরেই স্ত্রীকে খুন করেছে আবির। তাঁর দাবি, বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় প্রিয়াঙ্কাকে। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য রিজার্ভারে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় দেহ। এই ঘটনায় ধৃত মৃতার স্বামী ও শাশুড়ির ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: চায়ের দোকানে বচসার জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ, মৃত্যু নদিয়ার তৃণমূল কর্মীর]
উল্লেখ্য, শ্যামনগর শান্তিগড় এলাকায় ছিল মৃত প্রিয়াঙ্কা পুরকায়স্থের শ্বশুরবাড়ি। একই এলাকায় থাকেন প্রিয়াঙ্কার মাসি মায়ারানী মণ্ডল। বুধবার তিনি বধূর বাপের বাড়ি থেকে জানতে পারেন প্রিয়াঙ্কাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এদিন দুপুর থেকে। এরপরই মায়ারানীদেবী বোনঝির শ্বশুরবাড়িতে যান। শুরু করেন খোঁজাখুঁজি।
বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর প্রিয়াঙ্কার স্বামী আবির বাড়ির জলের রিজার্ভারের ঢাকনা খুলে উদ্ধার করে স্ত্রীর দেহ। রিজার্ভার থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আবিরের বাড়ির সামনে ভিড় করে ক্ষোভপ্রকাশ করে। খবর পেয়ে জগদ্দল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। বুধবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আবিরকে। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তের মাকে।