অর্ক দে, বর্ধমান: প্রণয় ঘটিত সম্পর্কে টানাপোড়েন। যুবককে বাড়িতে ডেকে পিটিয়ে খুনের (Lynching and murder) অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) রায়না থানার বিদ্যানিধি গ্রামে। শুধু তাই নয়, যুবকের হাত-পা বেঁধে রেখে মুখে ফিনাইল ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। দোষীদের শাস্তির দাবিতে রবিবার দীর্ঘক্ষণ জামালপুর-শ্যামসুন্দর রাস্তা অবরোধ করে গ্রামবাসীরা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের যুবক সুরজ মল্লিক নামে এক যুবককে গত বুধবার পাশের গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাক মির্জা করে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তাঁকে বাড়িতে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর করে। এমনকী এই ঘটনার পর সুরজকে তাঁর বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন সকালে পরিবারের লোকজন আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ (Burdwan Medical College) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সুরজকে। সেখানে রবিবার সুরজের মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: ‘পুরাতনই ভিত্তি, নতুনই ভবিষ্যৎ’, এবার মমতা-অভিষেকের যৌথ ছবি দিয়ে নতুন পোস্টার শহরে]
সুরজের পরিবারের দাবি, পরিকল্পনা মাফিক ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। বাবা নুর মল্লিক বলেন,”ছেলে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। পড়াশোনায় ভাল। সেই কারণেই হিংসার বশে ছেলেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে মোস্তাক মির্জা ও তার পরিবারের লোকেরা।” মৃতের মা জানান, “ছেলে ইলেকট্রিকের কাজ করত। বাড়িতে ফ্যান সাড়ানোর অজুহাতে তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে অত্যাচার চালানো হয়। তার সঙ্গে মোস্তাক মির্জার মেয়ে সম্পর্ক রয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ‘পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলব’, গেট খুলতে দেরি হওয়ায় নিরাপত্তারক্ষীকে বিশ্রী গালি, কলার ধরে মার মহিলার]
এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামের যুবকের নৃশংস মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসী দোষীদের শাস্তির দাবি জানান। এদিন বেশ কিছুক্ষণ জামালপুর-শ্যামসুন্দর রাস্তা অবরোধ (Road Block) করেন তারা। এলাকার এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলে পুলিশ। এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তীর জানান, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রণয় ঘটিত বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। সুরজ মল্লিকের উপরে শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৭ তারিখে ঘটনা ঘটলেও পুলিশের কাছে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। রবিবার ছেলেটি হাসপাতালে মারা যাওয়ার পরে অভিযোগ জমা হয়েছে।”