জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বন্ধুর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়েছে স্ত্রী। তা নিয়ে অশান্তিও হয়েছে, কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। শেষমেশ পরিণতি হল ভয়ংকর। বন্ধুর হাতে প্রাণ গেল যুবকের। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বাগদা থানার কুলবেরিয়া পারুইপাড়ায়। বন্ধুকে খুনের পর বাড়ি গিয়ে স্ত্রীকেও কোপায় অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, বাগদা থানার কুলবেরিয়া পারুইপাড়ার বাসিন্দা বাসুদেব ঘোষ। তার স্ত্রী কাকলি। বাসুদেবের সঙ্গে একই পাড়ায় থাকতেন মৃত আনন্দ ঘোষ। বাসুদেব ও আনন্দ একসঙ্গে দিনমজুরের কাজ করত। ফলে দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ছিল। বাড়িতে যাতায়াতও ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই যাতায়াতের জেরেই বাসুদেবের স্ত্রীর সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আনন্দ। বিষয়টা বেশিদিন গোপন রাখতে পারেননি কাকলি ও আনন্দ। প্রণয়ের সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যায় বাসুদেব। স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি বাধে তার। তাতেও কাকলি ও আনন্দের দূরত্ব বাড়েনি। এরই মধ্যে প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলে বাসুদেব।
[আরও পড়ুন: চতুর্থবারও সিবিআই হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল, আইনজীবীর মারফত পাঠালেন চিঠি]
মঙ্গলবার সকালে আনন্দ এক প্রতিবেশীর বাড়িতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময়ে রাস্তা দিয়ে কুড়ুল হাতে কাজে যাচ্ছিল বাসুদেব। অভিযোগ, আনন্দকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাঁর কাছে যায় সে। কাকলির সঙ্গে আনন্দের সম্পর্ক নিয়ে কথা ওঠে। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সে সময় আনন্দের মাথায় কুড়ুল দিয়ে কোপ মারে বাসুদেব। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন আনন্দ। স্থানীয়রা তাঁকে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বনগাঁ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা আনন্দকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসুদেবকে গ্রেপ্তার করে বাগদা থানার পুলিশ। আনন্দের দাদা লক্ষ্মণ ঘোষ বলেন, “ভাই একজনের বাড়িতে বসে গল্প করছিল। সেই সময় বাসুদেব পিছন দিক থেকে ভাইয়ের মাথায় কুড়ুল দিয়ে কোপ মারে। ওদের মধ্যে কোনও ঝামেলা বা অশান্তি ছিল বলেও জানা নেই। ভাইয়ের খুনির দৃষ্টান্তমূলক সাজা হোক।”