শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: অভাব নিত্যসঙ্গী। টানা লকটাউনে সংসার চালানো কার্যত দায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই আনলক পর্যায়ে পেটের টানে ফরিদাবাদে কাজে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের দীনেশ রায়। সেখানেই দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের। সংসারের উপার্জনকারী সদস্যের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কার পলাশী রেলবাজারের বাসিন্দা গোপাল রায়। তাঁর তিন ছেলে, তিন মেয়ে। স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বছর পাঁচেক আগে। গোপালবাবুর পঞ্চম সন্তান দীনেশ অবিবাহিত। সংসার সামলাতে প্রায় ১৫ বছর ধরে ভিনরাজ্যে কাজ করেন তিনি। লকডাউনে (Lockdown) বাড়ি ফিরলেও পরিবারে আর্থিক সংকট এতটাই প্রকট হয় যে আনলক পর্যায়ে ফের কাজে চলে যান তিনি। সম্প্রতি ফের বাড়ি এসেছিলেন দীনেশ। দিন বাইশ আগে কাজের জন্য ফের ফরিদাবাদে ফিরে যান তিনি। সেখানে নির্মান শ্রমিকের কাজ করতেন। শনিবার রাতে হঠাৎই মুর্শিদাবাদে খবর আসে, বহুতলের ছাদে থাকা জলের ট্যাঙ্ক মাথায় পড়ে মৃত্যু হয়েছে দীনেশের। জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় আরও ৫ জন জখম হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুদীপ্ত সেনের চিঠি বয়ান হিসেবে গ্রহণ করল আদালত, সার্টিফায়েড কপি হাতে পেলেন কুণাল ঘোষ]
জানা গিয়েছে, সোমবার দেহ এসে পৌঁছবে মুর্শিদাবাদ। সন্তান শোকে কার্যত পাথর হয়ে গিয়েছেন গোপাল রায়। পরিবারের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা ভেবে কুল-কিনারা পাচ্ছেন না কেউ। তাঁদের এখন একমাত্র আবেদন যেন সরকার পাশে থাকে। সহযোগিতা করে, ক্ষতিপূরণ দেয়। এদিকে যুবকের মৃত্যু নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে এলাকায়।