সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হলেও একাধিকবার পদবীর জেরে ‘দেশদ্রোহী’ খোঁটা খেতে হয়েছে। শুধু কি তাই? ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অবদান ভুলে প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাওয়ের একটি মন্তব্যের জন্য নেটপাড়াতেও বারবার রোষানলে পড়ে শুনতে হয়েছে, ‘পাকিস্তানে চলে যান।’ আর সেই অভিনেতা আমির খানের (Aamir Khan) মুখেই এবার 'নমস্কার' করার শক্তির কথা।
সম্প্রতি 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শর্মা' শোয়ের অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমির। ১১ বছর ধরে চলা শোয়ের মঞ্চে এই প্রথমবার পা রাখলেন তিনি। আর সেখানেই আমির খান জানালেন, "মুসলিম হয়েও বুঝেছি নমস্কার করার মধ্যে কতটা শক্তি রয়েছে।" আর এই বিষয়টা তিনি বুঝেছেন পাঞ্জাবে 'দঙ্গল' ছবির শুটিং করার সময়ে। আমিরের মন্তব্য, "এই গল্পটা আমার খুব কাছের। আমরা 'রং দে বাসন্তী'র শুটিং করেছিলাম পাঞ্জাবে। দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছিল তখন। পাঞ্জাব এবং সেখানকার মানুষরা ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে জানেন। আমরা যখন 'দঙ্গল'-এর শুটিং করতে গেলাম, তখন পাঞ্জাবের একটা প্রত্যন্ত গ্রামে ২ মাস থাকতে হয়েছিল। প্রতিদিন যখন ভোর ৫টা-৬টার সময়ে বেরতাম, আমার গাড়ি আসত, দেখতাম গ্রামের লোকজনরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে রাস্তার ধারে সারিবদ্ধভাবে করজোরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আমাকে স্বাগত জানানোর জন্য। নমস্কার করে আমাকে 'সত শ্রী কাল' বলতেন। তবে কোনওদিন আমাকে বিরক্ত করেননি ওঁরা। এমনকী রাতে যখন কাজ করে ফিরতাম, তখনও আমাকে 'শুভরাত্রি' জানাতেন নমস্কার করে।"
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানি নায়িকা মাহিরার কাছে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিং! দুবাইয়ের কনসার্টে কী ঘটল?]
এই প্রসঙ্গেই আমির খানের সংযোজন, "মুসলিম হওয়ায় আসলে 'আদাব' বলেই অভিবাদন জানানোর অভ্যেস ছিল আমার। করজোড়ে নমস্কার করার অভ্যেস খুব একটা ছিল না। বরং আমি হাত তুলে মাথা ঝুকিয়ে 'আদাব' বলতাম। তবে পাঞ্জাবে সময় কাটিয়ে নমস্কার করার মাহাত্ম্য বুঝতে পেরেছিলাম। কাউকে অভিবাদন জানানোর খুব সুন্দর একটা ভঙ্গিমা।" কিন্তু কপিল শর্মার শোয়ে আসতে কেন ১১ বছর দেরি করলেন? আমিরের কথায়, "আসলে এই কয়েকটা বছর খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি আমি। আমার মন খারাপ থাকলে এই শো-ই আমার মুখে হাসি ফুটিয়েছে। তাই ঠিক করলাম আমারও এবার আসা উচিত।"