সৈকত মাইতি, তমলুক: কোর্ট রুম ছেড়ে রাজনীতিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। কেরিয়ারের নতুন ইনিংসের প্রথম রাজনৈতিক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত কপালে ঠেকিয়ে আশীর্বাদ নিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দুহাত ধরে কপালে ঠেকালেন তিনি। আশীর্বাদ কি নিলেন?
জমি আন্দোলনের আঁতুর ঘর হিসেবে তমলুক লোকসভা সহ বেশ কিছু আসনে প্রার্থী ঘোষণা এখনও বাকি বিজেপির। কিন্তু তার মধ্যেও তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে জল্পনা ছড়িয়েছে সর্বত্রই। আর এমন অবস্থাতে এদিন দুপুর প্রায় পৌনে ১টা নাগাদ প্রাচীন শহর তমলুক এর মানিকতলায় বিজেপির জেলা কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে জেলা কার্যালয়ের গেটে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব। তখনই শুভেন্দুর হাত জড়িয়ে ধরে কপালে ঠেকান তিনি। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী হাত মাথায় ঠেকিয়ে আশীর্বাদ নিয়েছিলেন। তমলুকে গিয়ে শুভেন্দুর হাত মাথায় ঠেকালেন। তবে কি তিনি বুঝে গিয়েছেন, শেষপর্যন্ত যদি তিনি তমলুকের প্রার্থী হন তবে বিরোধী দলনেতার ‘আশীর্বাদ’ ছাড়া জেতা সম্ভব হবে না!
[আরও পড়ুন: ‘গুরু’ শাহরুখের পা ছুঁয়ে প্রণাম অ্যাটলির, ‘সংস্কারি’ পরিচালককে কুর্নিশ নেটপাড়ার]
দলীয় কর্মী সমর্থকদের বিপুল উল্লাসের মধ্য দিয়ে দলীয় কার্যালয়ে এসে বৈঠকও অংশ নিতে দেখা যায় প্রাক্তন বিচারপতিকে। কয়েক মিনিটের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পরেই তড়িঘড়ি করে অভিজিৎবাবু বেরিয়ে পড়েন তমলুকের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভিমা মায়ের মন্দিরের উদ্দেশ্যে। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী তথা হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, প্রাক্তন ক্রিকেটার বিধায়ক অশোক দিন্দা, স্থানীয় দুই কাউন্সিলর জয়া দাস নায়েক ও শর্বরী ভট্টাচার্য, জেলা অবজারভার অনুপম মল্লিক-সহ অন্যান্যরা। ১০৮ টি জবার মালা, পদ্ম সহযোগে নিষ্ঠা ভরে পুজো দেন অভিজিৎবাবু। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মন্দির প্রদক্ষিণ করেই ফের তিনি বেরিয়ে পড়েন নন্দীগ্রামের উদ্দেশ্যে। সন্ধেতে শান্তিকুঞ্জে শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।