সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: তৃতীয়ার বিকেলে ডায়মন্ড হারবারে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকাবাসীদের হাতে তুলে দিলেন উপহার। বিজেপিকে তোপ দেগে সাফ জানালেন, ধর্মের রাজনীতি করেন না তিনি। তাঁর একটাই ধর্ম, সেটা মানবধর্ম।
মঙ্গলবার বিকেলে পুজো উপলক্ষে ডায়মন্ড হারবারে বিশেষ কর্মসূচি ছিল যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানেই তিনি বলেন, “দুর্গা পুজো আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। আমরা অপেক্ষায় থাকি এই উৎসবের জন্য। এখন আর পুজো চারদিনের নয়। মহালয়ার পরদিন থেকেই উৎসব শুরু হয়ে যায়। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন মানুষ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে পুজোয় আনন্দ করুন। সকলের পুজো ভালো কাটুক। আমি ধর্মের রাজনীতি করি না। দুর্গাপুজোয় যেমন ক্লাবগুলোর পাশে দাঁড়াই তেমনই রমজানের সময় মসজিদ কমিটিগুলির পাশে দাঁড়াই। এটাই আমাদের বাংলা।” এদিনই তিনি এলাকাবাসীর হাতে তুলে দেন উপহার।
[আরও পড়ুন: Bonedi Barir Durga Puja: হাতিবাগানের কুণ্ডুবাড়ির পুজো প্রকৃতি ও মানব সভ্যতার মেলবন্ধন, মা এখানে ব্যাঘ্রবাহিনী]
এর পরই কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন সাংসদ। বলেন, গত ৯ বছরে ডায়মন্ড হারবার লোকসভার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার রাস্তা হয়েছে। ভারতবর্ষের কোনও লোকসভায় এত রাস্তার কাজ হয়নি। মহেশতলায় আড়াইশো-পৌনে তিনশো কোটি টাকা খরচ করে হয়েছে সম্প্রীতি উড়ালপুল। উড়ালপুলের নিচে ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ বজবজ ট্রাঙ্ক রোডে ৫২ কোটি টাকা রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছে। সেই কাজ চলছে। রাস্তার এক দিকের কাজ শেষ হবে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে। অন্যদিকের কাজ দু’তিন মাসের মধ্যেই শেষ করে ফেলা হবে বলে সাংসদ জানান।
তিনি আরও বলেন, “এক ডাকে অভিষেক এখন আর শুধু ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রেই সীমাবদ্ধ নেই। রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায়, বিধানসভা ও লোকসভাগুলোয় মানুষ সমস্যার সমাধানে এক ডাকে অভিষেকে ফোন করছেন। আমরাও সাধ্যমত চেষ্টা করছি সমাধানের।” প্রসঙ্গত, এদিন মহেশতলার বাটা স্টেডিয়ামে ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব বনাম সুজিত বসুর শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের এক প্রদর্শনীমূলক ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ছিলেন ড্রিবলিংয়ের জাদুকর রোনাল্ডিনহো। সাংসদ ও রোনাল্ডিনহো দুই দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলান। পরে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসে সাংসদ বলেন, “ডায়মন্ড হারবারের মানুষের অহংকার ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব।”