শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: “ও তৃণমূলের লক্ষ্মী। ও যত বিজেপিতে থাকবে, বিজেপির ততই ক্ষতি। এমনিতেই শনির দশা চলছিল। ও ঢোকাতে রাহু ও কেতু, এই দুটো দশাও সম্মিলিত হয়েছে।” উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের চৌরঙ্গি এলাকায় জনসভা থেকে এই ভাষাতেই নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে শুভেন্দু অধিকারী চলে যাওয়ায় আখেরে দলের লাভ হয়েছে বলেই মনে করেন অভিষেক। কারণ শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয় প্রমাণ করেছে ঘাসফুলের জনপ্রিয়তা। প্রমাণ হয়েছে তৃণমূলের সমর্থন বেড়েছে বহুগুণ। তাঁর মন্তব্যের পরই হাততালিতে ফেটে পড়ে জনসভা।
যদিও অভিষেককে পালটা দিয়েছেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর কথায়, “আমাদের দলে যাঁরা এসেছেন তাঁরা সকলে লক্ষ্মী। ওরা (তৃণমূল) লক্ষ্মীহারা হয়েছে।” একইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের গলাভাঙা ও সভায় বিশৃঙ্খলা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন দিলীপ।
[আরও পড়ুন: শুধু বিরাটই নন, অতীতেও তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছেন বিতর্কিত নবীন]
বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (বালুরঘাটের সাংসদ) নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘এই এলাকার সাংসদকে তো দেখাই যায় না। অথচ এই এলাকার ভোটে সাংসদ হয়েছেন তিনি। এর জবাব আগামী পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা ভোটে আপনাদের দিতে হবে।’’
তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড’ যখনই বিরোধী দলনেতাকে তীব্র আক্রমণ করেছেন, মানুষের করতালি বুঝিয়ে দিয়েছে অভিষেকের প্রতি তাঁদের পূর্ণ সমর্থন। একইসঙ্গে প্রমাণিত হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি রাজ্যের মানুষের সরে আসার ছবিটাও। এদিনের জনসুনামি পঞ্চায়েত ভোটের পাশাপাশি আগামী লোকসভা ভোটেও তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।