রাহুল রায়: ফের কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর। কেন তাঁকে বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল, সেই প্রশ্ন তুলে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছেন তিনি। সোমবার হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের বেঞ্চে মামলাটি দায়ের করেন মেনকা গম্ভীর। পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার।
কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Scam) মেনকাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিজ্ঞপ্তিতে সময় বিভ্রাটের জেরে ভুল বোঝাবুঝি হয়। রবিবার গভীর রাতে, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ সল্টলেকের (Salt Lake) সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। কিন্তু সেসময় কোনও আধিকারিক না থাকায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। সোমবার সকালে ফের ফোন করে মেনকাকে তলব করে ইডি (ED)। এনিয়ে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেন ইডি আধিকারিকরা। সমনে সময়ের উল্লেখ করার ভুল সময় টাইপের ভুল হয়েছিল বলে মেনে নেওয়া হয়। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁকে ডাকার কথা ছিল। সূত্রের খবর, তাঁর জন্য ১৫-২০ টি প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছিল। সেসবের উত্তর মেনকার কাছে জানতে চান ইডি আধিকারিকরা। সন্ধে পর্যন্ত টানা ৭ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় অভিষেকের শ্যালিকাকে।
[আরও পড়ুন: হিন্দুপক্ষের আবেদন বৈধ, জ্ঞানবাপী মামলায় শুনানিতে সায় আদালতের]
এসবের মাঝেই সোমবার মেনকা গম্ভীর কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। গত শনিবার ব্যাংকক যাওয়ার পথে তাঁকে কেন আটকানো হয়, এই প্রশ্ন তুলে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁর আইনজীবী অয়ন ভট্টাচার্য ও সপ্তাংশু বসু। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যর এজলাসে মামলাটি দায়ের হয়। আগামী বৃহস্পতিবার শুনানি। এর আগে হাই কোর্টেরই নির্দেশ ছিল, কয়লা কাণ্ডে মেনকাকে কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কোনও কড়া পদক্ষেপও নেওয়া যাবে না। কিন্তু এই নির্দেশ সত্ত্বেও শনিবার তাঁকে বিমানবন্দরে আটকানোর অভিযোগ আদালত অবমাননার শামিল বলে উল্লেখ করেন মেনকার আইনজীবী। এরপরই হাই কোর্টে দায়ের হয় মামলা।
[আরও পড়ুন: ‘ড্রাগের নেশা করত’, বাগুইআটির মৃত ছাত্রদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য সৌগত রায়ের, পালটা দিলেন দিলীপ]
মেনকা গম্ভীরকে তলবের নোটিসে এমন সময় বিভ্রাট হওয়ায় ইডির প্রতি কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ”একজন মহিলাকে নোটিস পাঠানোর ক্ষেত্রে আরও অনেক সচেতন হওয়ার কথা ছিল ইডি আধিকারিকদের। এ তো যে কোনও টাইপো এরর বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তা হলে ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ, মামলা – এসব হবেই।”