রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দীর্ঘদিন ধরেই দল অর্থাৎ বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র। দলের কোনও কর্মসূচিতেই দেখা যাচ্ছিল না তাঁকে। সোমবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে হোয়াটসঅ্যাপ করে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন অভিনেত্রী। নাম না করে নিশানা করলেন বিজেপির ক্ষমতাসীনদের।
পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে। এদিকে একের পর এক ভাঙন দেখা দিচ্ছে গেরুয়া শিবিরে। বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের দলবদল নিয়ে চাপানউতোরের মাঝেই বিজেপি ছাড়লেন অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে সুকান্ত মজমুদাকে দলত্যাগের কথা জানান তিনি। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় দলত্যাগের বিষয়টি জানান। সংবাদ প্রতিদিনের তরফে যোগাযোগ করা হলে কাঞ্চনা জানান, “আপাতত পরিবার ও কাজেই সময় দিতে চাইছি।” কিন্তু কেন হঠাৎ খাতায় কলমে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত? সরাসরি কিছু না বললেও দলকে পুরনো কর্মীদের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কাঞ্চনা। এতেই স্পষ্ট যে, দলত্যাগের নেপথ্যে নব্য-পুরনো দ্বন্দ্বও একটা কারণ।
[আরও পড়ুন: ‘পতাকা আজ হাতে দেখেননি, কাল দেখবেন’, সুমন কাঞ্জিলালের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে মন্তব্য কুণালের]
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র। সেখানে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও অনেকে। পরবর্তীতে বিজেপির বহু কর্মসূচিতে সামনের সারিতে দেখা গিয়েছে কাঞ্চনা। তবে একটা সময়ের পর দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন কাঞ্চনা। দলের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছিল না তাঁকে। এসবের মাঝেই দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন অভিনেত্রী। তবে বিজেপি ক্ষমতায় আসেনি বলে দলত্যাগ করেছেন, এমনটা একেবারেই নয় বলেই দাবি কাঞ্চনার। তিনি বলেন, “আমি কোনওকিছু পাওয়ার জন্য বিজেপিতে যাইনি। তাই কেউ ভাববেন না বিজেপি ক্ষমতায় আসেনি তাই দল ছেড়েছি। আমি এখন পরিবার ও কাজকে সময় দিতে চাইছি।”