রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শিক্ষক নিয়োগ থেকে গরু পাচার – একের পর এক দুর্নীতি মামলার তদন্তে কোমর বেঁধে নেমেছে ইডি ও সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের মতো প্রথম সারির নেতারা। গেরুয়া শিবির ইচ্ছাকৃতভাবে এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল নেতাদের হেনস্তা করছে, এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির। তবে তারই মাঝে বিস্ফোরক দাবি অধীররঞ্জন চৌধুরীর। নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তাঁর দাবি, ‘খোকাবাবু’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একের পর এক তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তার হচ্ছেন।
শুক্রবার অধীর দাবি করেন, “২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ইডিকে তথ্য দিয়ে এসেছিল খোকাবাবু। সেই তথ্য অনুযায়ী তৃণমূলের একের পর এক নেতা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। সেদিন খোকাবাবু ৭৩ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে আছেন বলেছিলেন। সরকার করে দেব বলেছিলেন। কিন্তু এখনও কথা রাখতে পারেননি খোকাবাবু। তাই সিবিআই ও ইডি’র চাপ বাড়ছে তাঁর উপর।” তিনি আরও বলেন, “আমার কথা আজকে শুনলে মনে হবে ঈর্ষা থেকে বলছি। আজ নয়তো কাল প্রমাণ পাবেন।”
[আরও পড়ুন: ‘বড্ড কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি’, কাজলের ‘কালো পোস্টে’ তোলপাড় বলিউড]
সদ্যই ঘোষণা হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ। সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েও নাম না করে অভিষেককে দুষছেন অধীর। তাঁর দাবি, “ভোট পরিচালিত হবে খোকাবাবুর অফিস থেকে। কমিশনের অফিস থেকে নয়। খোকাবাবুর অফিস থেকে যা নির্দেশ আসবে তাই করবে কমিশন।” অধীর চৌধুরীর বিস্ফোরক দাবি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অধীরকে ‘ব্যর্থতম সভাপতি’ বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর খোঁচা, “হয় অধীর প্রলাপ বকছেন নয়তো বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত তৈরি করেছেন।” যদিও সে প্রসঙ্গে আর অধীরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দেখুন ভিডিও: