রাহুল চক্রবর্তী: তাঁর জেলায় ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। নিজের কেন্দ্র বহরমপুরে ভোটের দিন দাপিয়ে বেড়িয়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি। ভোট মিটেছে। ভোটের হারে সন্তোষও প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষকের উপর রাগ যেন কিছুতেই কমছে না বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদের। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে নজিরবিহীনভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশার আরিফ আফতাবকে নাম করে তৃণমূলের দালাল বলে তোপ দাগলেন অধীর। একই অভিযোগ তুললেন কমিশন নির্ধারিত পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের বিরুদ্ধেও।
[আরও পড়ুন: ভোটের মাঝেই ট্র্যাক বদল, সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে জ্যোতির্ময়ী শিকদার]
প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, বারবার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও ভোটের দিনে উপযুক্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে কমিশন। মুর্শিদাবাদ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে খুঁজে বেড়াতে হয়েছে। অন্তত ৯৭টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। ৭-৮ টি বুথে ভোট হয়েছে একজন বা দু’জন হোমগার্ড দিয়ে। রাজ্য পুলিশেরও ব্যবস্থা ছিল না। অধীরবাবু আরও অভিযোগ করেন, বহরমপুরে ভোটের দিন তিনি নিজে বারবার ফোন করলেও কোনও জবাব দেননি বিবেক দুবে। এমনকি এসএমএস করেও মেলেনি জবাব। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, যদি তৃণমূলের সঙ্গে বিবেক দুবের যোগসাজশই না থাকতো তাহলে ভোটের দিন একজন প্রার্থীকে তিনি উপেক্ষা করলেন কেন? ভোটের আগে বিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক জেলার ডিএম, এসপিদের বদল করা হলেও মুর্শিদাবাদের ডিএম-এসপিদের বদল করা হল না কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অধীরবাবু। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর যাবতীয় অভিযোগ জানাতে এবং নথিপত্র পেশ করতে শুক্রবারই দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মমতার উচ্চারণ নিয়ে কটাক্ষ, সূর্যকান্তকে কড়া জবাব নেটিজেনদের]
কিন্তু, ভোটের পরে কমিশনের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ কেন? তবে, কি অধীরবাবু হারের ভয় পাচ্ছেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জয় বা জয়ের ব্যবধান নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। এমনকী, কোনও বুথে পুনর্নির্বাচনও চাইছেন না তিনি। তবে, তৃণমূলের একাংশের সঙ্গে বিবেক দুবের যোগসাজশ ভেঙে দিতে চান তিনি।
The post ‘বিবেক দুবে দালাল’, অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ অধীর appeared first on Sangbad Pratidin.