সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে (Afghanistan) ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। এবার খাস কাবুলের একটি গুরুদ্বারে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ। চলেছে গুলিও। ঘটনায় এক শিখ-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও সাত জন। নিরাপত্তারক্ষীদের পালটা মারে ৩ হামলাকারীও নিহত হয়েছে বলে খবর। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
আফগান সংবাদমাধ্যম টলো নিউজ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে কাবুলের কার্তে পারওয়ান এলাকায় একটি গুরুদ্বারে দু’টি বিস্ফোরণ ঘটে। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের পর গুরুদ্বারের নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করে ওই ধর্মস্থলে ঢুকে পড়ে দুই জঙ্গি। এর পর গুরুদ্বারের ভিতর থেকেও ভেসে আসে আগ্নেয়াস্ত্রের আওয়াজ। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন শিখ সম্প্রদায়ের। আরও ৭ জন আহত হয়েছেন। ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা পালটা গুলি চালালে ৩ জন হামলাকারী নিকেশ হয়েছে বলেও খবর। প্রাথমিকভাবে তালিবান নিয়ন্ত্রিত আফগান পুলিশ এটিকে জঙ্গি হামলা বলেই দাবি করেছে। তাঁদের ধারণা পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী জঙ্গি সংগঠন আইসিস (খোরাসান) তালিবানকে (Taliban) বদনাম করার লক্ষ্যেই এই হামলা চালিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলা আবাস যোজনার নাম বদল না করলে এক টাকাও নয়, রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের]
বস্তুত আফগানিস্তানে তালিবান শাসনে রীতিমতো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সংখ্যালঘু শিখ ও হিন্দুরা। গত বছর আগস্টে তালিবানের কাবুল দখলের পর সে শহরের বাসিন্দা বেশ কিছু শিখ এবং হিন্দু ভারতে চলে আসেন। কিন্তু সেসময় কাবুলের ওই গুরুদ্বারটিতে থেকে যান ১৬ জন শিখ। তাঁদেরও থাকতে হয় ভয়ে ভয়ে। এর আগে তালিবানের কিছু নেতা গিয়ে ওই গুরুদ্বারের শিখদের হুমকি দিয়ে এসেছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। তারপরই এই জঙ্গি হানা। স্বাভাবিকভাবেই এই হামলার পিছনে তালিবানের একাংশের হাত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: ‘দিদিকে বলো’র অনুকরণ! এবার চাকরির দুর্নীতি খুঁজতে নয়া কর্মসূচি দিলীপ ঘোষের]
এই ঘটনায় প্রবল ক্ষুব্ধ ভারত। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে হামলার নিন্দা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,”কাবুলের কার্তে পারওয়ান গুরুদ্বারের কাপুরুষোচিত হামলায় আমি স্তম্ভিত। আমি এই বর্বর হামলার নিন্দা করছি। আমি পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা কামনা করি।” হামলা নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টুইট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, মোদি আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিলেন, এভাবে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হতে থাকলে বরদাস্ত করা হবে না।