সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের পর হলদিয়ার সমবায়ে সবুজ ঝড়ে পরাস্ত বিরোধীরা। নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে বিরোধীশূন্য বোর্ড দখল করল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার হলদিয়া ব্লকের বাঁশখানা সত্যনারায়ণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে জয়ের পর উন্মাদনায় মাতলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা।
বৃহস্পতিবারই পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকে জবদা সমবায় সমিতির ভোটে মনোনয়ন ছিল। সেখানে তৃণমূল সব আসনে প্রার্থী দিলেও বিরোধীরা একটি আসনেও মনোনয়ন পেশ করার লোক খুঁজে পায়নি। ফলে ওই সমবায়েও বোর্ড গড়ছে রাজ্যের শাসকদল। হলদিয়ার বাঁশখানা সত্যনারায়ণ সমবায়ে মোট আসন ১২। আগেই ২টি আসনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে। এদিন ১০টি আসনে নির্বাচন হয়। মোট ভোটার ৭১০ জন। বিরোধীরা গোহারা হেরেছে। গড়ে দেড়শো ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা ১০টি আসনে জয়ী হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত হীরাবেন মোদি, আহমেদাবাদে পৌঁছলেন মাতৃহারা প্রধানমন্ত্রী]
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের নওদা ব্লকের চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ন’টি আসনেই জয়ী হল তৃণমূল (TMC)। বিরোধীরা খাতা খুলতেই পারল না। সন্ধেয় ওই নির্বাচন শেষে তৃণমূলের জয়ধ্বনি শোনা গেল। ওই নির্বাচন নিয়ে এদিন এলাকায় বিক্ষিপ্ত উত্তেজনা ছড়ায়। সংঘর্ষে গুলি চলার অভিযোগ ওঠে।
এদিকে, এই বিষয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে সমবায় ব্যাংকের ভোটে গুলি চালিয়ে যাঁরা প্ররোচনা দিচ্ছেন, তাঁরা চাইছেন গন্ডগোল হোক। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন কোনওরকম গন্ডগোল না করতে। মানুষের ভোটে জিতে আসতে হবে। যারা এই অঘটন ঘটিয়ে নেতিবাচক খবরগুলো সামনে আনতে চায়, তারাই বোমা-বন্দুকের ব্যবহার করছে। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তারা তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলে। তার পর দেখা যায়, বিষয়টা সেরকম নয়। তারাই এই ধরনের গন্ডগোল করছে।’’
আরএসপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ‘‘সমবায় ভোটে শাসকদল তৃণমূল যেভাবে মারধর করে বিরোধীদের তাড়িয়ে দিল, তাতে স্পষ্ট যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন কী হবে। কেননা এদিন বিরোধী প্রার্থী-সহ বিরোধী ভোটারদের লাঠিসোঁটা নিয়ে তাড়া করেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ফলে পুলিশ প্রশাসন সজাগ থেকেও কিছু করতে পারল না।’’ অন্যদিকে নওদা ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সুনীল মণ্ডল বলেন, ‘‘কংগ্রেসের তিনজন মহিলা প্রার্থী ছিলেন। তাঁদেরও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে থেকে তাড়ানো হয়।’’