গৌতম ব্রহ্ম: মুখ্যমন্ত্রীহীন নবান্ন (Nabanna) ঘেরাওয়ে কর্মসূচি সফলভাবে পালনে জোরকদমে প্রস্তুত হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের কর্মী, সমর্থকরা। আর তা ব্যর্থ করতে রণসজ্জা পুলিশের। রাজ্যের মূল প্রশাসনিক ভবনের বাইরে এই আবহ যখন সকলের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে, ঠিক সেসময় অন্দরে কিন্তু অন্য ছবি। সেখানে বিপ্লবী যতীন দাসের প্রয়াণ দিবসে পালনের তোড়জোড়। ভিতরে চলছে দেশাত্মবোধক গান। ঠিক ১২টার সময়ে যতীন দাসের মূর্তিতে মাল্যদান করবেন মন্ত্রী অরূপ রায় (Arup Roy)। তারপর হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযানের কারণে এদিন খুব সকালেই হাজির শিল্পীরা। ভিতরেই চলল মহড়া। সেখানেও অগ্নিযুগের আবহ, বাইরের মতোই, তবে একটু ভিন্ন।
[আরও পড়ুন: নবমীর দিন ‘রাজবলি’ই পাত্রসায়েরের প্রাচীন হাজরা বাড়ির মূল আকর্ষণ, জানেন এর ইতিহাস?]
বিদ্রোহ, প্রতিবাদ কি শুধু বাইরেই? তা নয় মোটেও। বাইরে যদি বিরোধীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা নেয়, তাহলে ভিতরেও প্রস্তুত আরেক পক্ষ। একপক্ষের হাতিয়ার যদি হয় মিছিল, স্লোগান, অপরপক্ষ তবে ভরসা রেখেছে দেশপ্রেমের প্রদীপালোকের ঔজ্জ্বল্যে, শক্তিতে। তাই তো নবান্নের ভিতরে এবং বাইরে আজ দেখা গেল দুই সামঞ্জস্যপূর্ণ ছবি। বাইরে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের প্রায় রণংদেহী মূর্তি। আর অন্দরে চলছে দেশমাতৃকার বন্দনা, দেশপ্রেমের গান (Patriotic Song)গাইছেন শিল্পীরা। সেও এক প্রতিবাদ, সেও এক যুদ্ধের ভাষা।
বিপ্লবী যতীনদা অর্থাৎ যতীন দাসের প্রয়াণ দিবস আজ। প্রতিবছরই তা পালিত হয় নবান্নে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত না থাকলেও মঙ্গলবার তাঁকে শ্রদ্ধা অর্পণে কোনও খামতি নেই। বেলা ১২টায় মন্ত্রী অরূপ রায় তাঁর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। তার অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গেল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
[আরও পড়ুন: পুজোয় সরকারি অনুদানে বাধা নেই, রায় জানাল হাই কোর্ট]
আসলে এদিন বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে কড়া পুলিশি প্রহরার কারণে আগেভাগেই শিল্পীরা সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। নবান্নের দোতলার হলে বিপ্লবীর ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে। তারই সামনে রিহার্সাল শুরু করে দেন শিল্পীরা। বাইরে পুলিশের রণসজ্জার সঙ্গে ভিতরের ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’র সুর যেন মিলেমিশে গেরুয়া প্রতিরোধ গড়ে তোলারই বার্তা।