সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনার সাফল্য নিয়ে রাজনীতি না করার অঙ্গীকার প্রথম বিজেপিই করেছিল। পরে বিরোধীরাও সেই সুরে সুর মেলায়। কিন্তু, শুধু অঙ্গীকারই সার। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে শাসক-বিরোধী দুই শিবিরই হয় সেনার সাফল্যকে আর নাহয় পুলওয়ামার জঙ্গি হানাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। যাঁর সর্বশেষ উদাহরণ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কোনও রাখঢাক না রেখেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে, সরাসরি ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারস্ট্রাইককে হাতিয়ার করার চেষ্টা করলেন যোগী।
[পুলওয়ামার অপরাধী মাসুদ আজহারকে ‘জি’ বলে সম্বোধন, ফের বিতর্কে রাহুল]
এক টুইট বার্তায় তাঁর দাবি, “পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মাটিতে মোদিজির নেতৃত্বাধীন সরকার যে এয়ারস্ট্রাইক করেছে, সেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকই দেশে আরও একবার মোদিজির সরকারকে ক্ষমতায় আনবে।” যোগীর দাবি, “এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে, দেশে আরও একবার মোদিজির নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় আসছে। খালি উত্তরপ্রদেশেই বিজেপি ৭৪টির বেশি আসন পাবে।” এমনকী রাহুল গান্ধীর আমেঠি এবং সমাজবাদী পার্টির গড় আজমগড়েও জিতবে বিজেপি। একই সঙ্গে বিরোধীদের কটাক্ষ করে যোগী বলেছেন, “নরেন্দ্র মোদি না থাকলে আজ কংগ্রেস-সপা-বসপা-আরজেডির মতো দল এক ছাতার তলায় আসত না। এখানেই প্রমাণিত হচ্ছে মোদি থাকলে সব কিছুই সম্ভব।”
[মুসলিম আর খ্রিষ্টানের ছেলে ব্রাহ্মণ কী করে? রাহুলকে ‘অশালীন’ প্রশ্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]
এয়ারস্ট্রাইক প্রসঙ্গে যোগীর এই মন্তব্য যে বিরোধীরা ভালভাবে নেবে না তা বলাই বাহুল্য। সেনার সাফল্য নিয়ে সরকার রাজনীতি করছে, এ অভিযোগ বিরোধীরা আগে থেকেই করছিল। এবার তাতে নতুন মাত্রা যোগ হতে চলেছে। নির্বাচন কমিশন অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কোনও রাজনৈতিক দল সেনা বা সেনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির ছবি পোস্টারে, হোর্ডিংয়ে বা লিফলেটে ব্যবহার করতে পারবে না। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী সীমান্তের রক্ষক৷ সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভিভাবক। গণতান্ত্রিক দেশে সেনা অরাজনৈতিক এবং নিরপেক্ষ একটি প্রতিষ্ঠান৷ তাই এদের কোনওভাবেই রাজনৈতিক ফায়দা তোলার কাজে ব্যবহার করা যাবে না। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য, সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখালেন।
The post এয়ারস্ট্রাইকই মোদিকে ক্ষমতায় ফেরাবে, দাবি যোগীর appeared first on Sangbad Pratidin.