সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশেষ কাজ না থাকলে বাইরে বেরনো মানা। আর বেরতে হলে পরতে হবে ‘চাদরি’ অর্থাৎ এক ধরনের বোরখা। ঢেকে রাখতে হবে সমস্ত শরীর। শনিবার আফগান (Afghanistan) নারীদের উদ্দেশে এমনই ফতোয়া জারি করেছে তালিবান (Taliban)। জেহাদিদের এহেন ফতোয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।
রবিবার টুইটারে তিনি লিখেছেন, ”তালিবান ঘোষণা করেছে মহিলাদের বাড়িতেই থাকতে হবে। বেরতে হলে আপাদমস্তক ঢেকে রাখতে হবে। এই ঘোষণায় আমি শঙ্কিত। আমি ফের তালিবানের কাছে আরজি জানাতে চাই, তারা যেন আফগান মহিলাদের দেওয়া কথা রাখে। এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলে।”
[আরও পড়ুন: অনন্য প্রতিভা কলকাতা হাই কোর্টের কর্মীর! ছবি তুলে জাতীয় স্তরে সেরার পুরস্কার, প্রশংসা বিচারপতির]
শনিবারই তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা আখুন্দজাদা এই ঘোষণা করেছিল। সে জানিয়ে দিয়েছিল, হিজাব নয়, ‘চাদরি’ অর্থাৎ এক ধরনের বোরখা যা সারা শরীর ঢেকে রাখে তা পরেই রাস্তায় বেরতে হবে আফগান মহিলাদের। বাড়ির পুরুষ আত্মীয়দের সামনেও মুখ হিজাবে ঢেকে তবেই আসা যাবে শরিয়তি নিয়ম মেনে। কেবল চোখ ছাড়া আর কিছু দৃশ্যমান রাখা যাবে না। যদিও এই নিয়ম থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে বয়স্ক মহিলা ও শিশুকন্যাদের। সেই সঙ্গে আখুন্দজাদার আরেক ফতোয়া, প্রয়োজন ছাড়া বাড়িতেই থাকবে হবে মহিলাদের।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল সময়কালে প্রথমবার তালিবানের নির্যাতনের সাক্ষী হয়েছিল আফগানিস্তান। যার অন্যতম ভুক্তভোগী ছিলেন মহিলারা। তাঁদের কর্মক্ষেত্রে যাওয়া কিংবা যে কোনও কারণে বাইরে বেরনোয় জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। গত আগস্টে আফগানিস্তান পুনর্দখল করেছিল জেহাদিরা। ক্ষমতা দখলের পরে তারা জানিয়েছিল, এটা তালিবান ২.০। গতবারের মতো দমন পীড়ন নয়, বরং সাধারণ আফগান বিশেষ করে নারীদের স্বাধীনতা রক্ষায় ব্রতী থাকবে তারা। কিন্তু তা যে স্রেফ ‘ফাঁকা বুলি’, সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার তা একেবারেই স্পষ্ট হয়ে গেল।