স্টাফ রিপোর্টার: সবার রঙে রং মেলাতে তিনদিনের জন্য ‘ঘর ছাড়ছে’ বাঙালি। ১৮ মার্চ, শুক্রবার দোল উৎসব। শনি ও রবিবার সরকারি ছুটির দিন। বেসরকারি সব অফিসেও ছুটি। স্বাভাবিকভাবেই টানা তিনদিন ছুটিতে বাক্স প্যাঁটরা গুছিয়ে পায়ের তলায় সরষে থাকা বাঙালি যে বেরিয়ে পড়বে পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্র সৈকত বা নদীপাড়ের কোনও অভিমুখে, সেটাই স্বাভাবিক। আর পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে শুধু ‘নেই নেই’ রব।
কাছে পিঠের দিঘা, সুন্দরবন, তারাপীঠ, শান্তিনিকেতন হোক বা একটু দূরের ঘাটশিলা, পুরী, চাকুলিয়া, উত্তরবঙ্গ। ট্রেনের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলের ঘর প্রায় অমিল। যা মিলছে, তা বেশ চড়াদামেই। ট্রেনের টিকিট না মেলায় চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বহু ভ্রমণসূচি বাতিল করতে হচ্ছে টুরিজম সংস্থাগুলিকে। দিঘা হেল্প ডেস্কের কর্তা আশিস দুবে বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাত থেকেই প্রায় অধিকাংশ হোটেলে পর্যটক আসা শুরু হয়ে যাবে। ট্রেনেও ওয়েটিং লিস্ট বেশ লম্বা। এরপর কেউ দিঘা আসতে চাইলে হয় হোটেলে রুম মিলবে না বা গাঁটের কড়ি বেশি খরচ হবে।’’
[আরও পড়ুন: এ দেশেই রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ইগলু ক্যাফে! বরফের টেবিলে সাজিয়ে দেওয়া হচ্ছে খাবার]
ইস্টার্ন হিমালয়া ট্রাভেল অ্যান্ড টুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপন ঘোষ জানাচ্ছেন, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, সুন্দরবন, কোলাঘাট, তাজপুর, শংকরপুর, শান্তিনিকেতন, দিঘা, পুরী, উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জায়গাতেই দোলের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামতে চলেছে। বিশেষত উত্তরবঙ্গের অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দোলের অবস্থা সাংঘাতিক। ভাল সংখ্যক পর্যটক আসবে এখানে। হোটেল প্রায় সব বুকড। শেষ মুহূর্তে কিছু পাওয়া গেলেও দাম চড়া হবে। গাড়িও অপ্রতুলতার দিকে এগোচ্ছে। সব মিলিয়ে খালি কিছুই নেই।’’ ১৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে বাগডোগরার সরাসরি বিমানের টিকিটের দাম তো প্রায় ৮ হাজার থেকে শুরু হয়ে ১২ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। গোটা সপ্তাহান্তেই উত্তরবঙ্গের বিমানের টিকিটের অবস্থা একই।
রবিবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে আয়োজিত পর্যটনমেলার আয়োজক সংগঠনের কর্তা সমর ঘোষ বলেন, ‘‘উইকএন্ড টুরের বুকিং প্রচুর হচ্ছে। মানুষ এখন ঘর ছেড়ে বেরোতে চাইছেন, তা বোঝা যাচ্ছে এই মেলার ভিড় দেখে।’’ সব মিলিয়ে বলা যায় পলাশ পার্বণ হয়ে উঠতে চলেছে ভ্রমণ উৎসব।